করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কোয়ারেন্টাইনের পরামর্শ মানছেন না অনেকে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছেন বিদেশীরা। তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এটি করতে কাজ করছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। সাথে সরকার সেনাবাহিনীকেও নিয়োজিত করেছে। অনেক ক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা। একই সঙ্গে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে লিফলেট বিলি করছেন। তারপরও কেউ সরকারের এই নির্দেশ না মানলে রয়েছে শাস্তির বিধান।
আইনজীবী রিয়াজ উদ্দিন জানান, দেশে প্রচলিত সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮সনের ৬১ নং আইনের ২৪ ধারায় বলা হয়েছে, যদি আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি সংক্রামকের তথ্য গোপন করে এবং তার থেকে এ সংক্রামক ছড়ায় যার ফলে অন্য কেউ আক্রান্ত হয় তাহলে সে দোষী সাব্যস্ত হবে। তাকে ছয়মাসে কারাদণ্ড অথবা ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। আরো বলা আছে, এই আইনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যাক্তিকে দায়িত্ব পালনের সময় কেউ যদি বাধা প্রদান করে এবং দায়িত্ব পালনকারী ব্যাক্তির আদেশ অমান্য করে তাহলে সেই ব্যক্তিকে ৩ মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। ইতোমধ্যে বিদেশ ফেরত ব্যাক্তিদের বিশেষ করে যারা কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন না বা কোয়ারেন্টাইন মানছেন না তাদের বাধ্য করতেও কাজ করছে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য সরকার সাধারণ ছুটি দিয়েছে । বিদেশফেরতদের বাড়িতে গিয়ে তা মানার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে ও নিশ্চিতকরণে আনসার ও ভিডিপি কাজ করছে। এছাড়া করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গ্রামাঞ্চলসহ লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া আনসার সদস্যরা মাস্ক বিতরণেও খবর পাওয়া গেছে।