17747

04/24/2025 আটলান্টিকে নিখোঁজ সাবমেরিন থেকে আবারও শব্দ

আটলান্টিকে নিখোঁজ সাবমেরিন থেকে আবারও শব্দ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২২ জুন ২০২৩ ১৬:২৪

আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিন থেকে আবারও শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ফলে এর তল্লাশি অভিযানের আওতা আরও বাড়ানো হচ্ছে। একটি এইচসি-১৩০ হারকিউলিস ফ্লাইট ৮৭৯ মাইল (১৪শ কিলোমিটার) এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে কোস্টগার্ডের ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডরিক বলেছেন, তল্লাশি অভিযানে শিগগিরই আরও জাহাজ ও রিমোটলি অপারেটেড ভেহিক্যাল (গভীর সাগরে অনুসন্ধান করার যন্ত্র) যুক্ত করা হবে।

ধারণা করা হচ্ছে, ২০ ঘণ্টারও কম সময়ের অক্সিজেন সাবমেরিনে মজুদ আছে।

গত রোববার সমুদ্রের অতল গভীরে পড়ে থাকা টাইটানিক জাহাজের কাছে যেতে এই সাবমেরিন আটলান্টিকের নিচে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই সাবমেরিনের সঙ্গে সমুদ্রের ওপরে থাকা জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান।

১৯১২ সালে যুক্তরাজ্যের সাউথ হ্যাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি যাওয়ার পথে হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় টাইটানিক। সাগরের হিমশীতল পানিতে ডুবে সলিল সমাধি ঘটে হাজার হাজার যাত্রীর।

আটলান্টিক সাগরের যে এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ, সেটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে। সাগরের গভীরে এই ধ্বংসাবশেষটি দেখতেই ওশনগেট নামের একটি সাবমেরিনে চেপে রওনা হন চালকসহ মোট ৫ জন।

যাত্রীরা হলেন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং (৫৮), ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯), ওশনগেটের শীর্ষ নির্বাহী স্টকটন রাশ (৬১) ও সাবমেরিনটির চালক ও ফরাসি নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা পল হেনরি নারগিওলেট (৭৭)। এই অভিযানে যাওয়ার জন্য প্রত্যেক অভিযাত্রীর মাথাপিছু খরচ হয়েছে আড়াই লাখ ডলার।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]