বরিশাল-ঝালকাঠি মহাসড়কের ছত্রকান্দা এলাকায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে গেছে। এ ঘটনায় ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জেলা সিভিল সার্জন অফিসার ডা. জহিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
গুরুতর আহত কয়েকজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নামপরিচয় পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, বাসার স্মৃতি নামে বাসটি ভাণ্ডারিয়া থেকে সকাল ৯টার দিকে ছেড়ে এসে ঝালকাঠির দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বাসের চাকা ফেটে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক ফিরোজ কুতুবী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ২১ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এরমধ্যে ঠিক কতজন বেঁচে আছেন আর কতজন মারা গেছেন সেই তথ্য সঠিকভাবে দিতে পারবেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ভান্ডারিয়া ও ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতিতে কথা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ৪০ জনের মতো যাত্রী নিয়ে ভান্ডারিয়া থেকে বাসটি ছেড়ে আসে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটসহ পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ঝালকাঠি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ছত্রকন্দা নামকস্থানে একটি অটোরিকশাকে পাশ কাটাতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে সড়কের পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা নিজেরা উদ্ধার অভিযানে নেমে পড়েন এবং পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানান।
ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আফরুজুল হক টুটুল বলেন, বাসটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন তা জানা যায়নি। ক্রেন দিয়ে গাড়িটি তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনের মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।