ঢাকার ধামরাই উপজেলার বালিয়া কাজীপাড়া এলাকার আসাদ এগ্রো ফার্ম নামের একটি খামারের ১১টি গরু মারা গেছে। এ ঘটনায় আরও পাঁচটি গরু অসুস্থ গুরুতর হয়ে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নাইট্রিক বিষক্রিয়ায় এসব গরু মারা গেছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধামরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মোমেন। এর আগে সকালে খাবার খাওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর এসব গরু অসুস্থ হয়ে একে একে মারা যায়।
খামারির মালিক আসাদ খান বলেন, আমার খামারে ১৬টি গরু ছিল। এসব গরুর সবই ফ্রিজিয়ান জাতের। এসব গরু মারা যাওয়ায় আমার ৩০ লাখের ওপরে লোকসান হলো।
তিনি বলেন, আমরা গত দুই বছর ধরে একই ধরনের খাবার একই পরিমাণ খাওয়াচ্ছি। কেন হঠাৎ মারা গেলো বুঝতে পারছি না। মরার সময় প্রতিটা গরুর পায়ুপথে রক্ত দেখা গেছে। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খামারে এসে নমুনা নিয়ে গেছেন। রিপোর্ট আসলে মারা যাওয়ার কারণ বোঝা যাবে। এছাড়া বাকি পাঁচটি গরু অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে।
খামারের পরিচর্যাকারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, সকাল ৭টার দিকে খামারের ১৬টি গরুকেই একসঙ্গে খাবার দেই। স্বাভাবিকভাবে সব গরু সকালে খাবার খেয়েছে। খাবার খাওয়া শেষ হলে আমি আমার বাড়ি গিয়ে জানতে পারি ১১টি গরু মারা গেছে।
এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মোমেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নাইট্রিক বিষক্রিয়ায় এসব গরু মারা গেছে। ঘাসে বিষক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আমরা প্রয়োজনীয় নমুনা (খাবার, গোবর, রক্ত) সংগ্রহ করেছি। পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে গরুগুলোর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।