বাগেরহাট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর হেফাজতে রাজা ফকির (২০) নামের এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তবে পিবিআই পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মারা যান হত্যা মামলার ওই আসামি।
নিহত রাজা ফকির বাগেরহাট সদর উপজেলার খানজাহান আলী দীঘিরপাড় এলাকার বাবু ফকিরের ছেলে।
রাজা ফকিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তার বাবা ও স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। এসময় রাজা ফকিরের বাবা বাবু ফকির সাংবাদিকদের বলেন, 'রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে পটুয়াখালীর এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রাজা ফকিরকে আটক করে বাগেরহাটে নিয়ে আসেন বাগেরহাট পিবিআই-এর আবু সাইদ। আনার পথে রাজার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। বাগেরহাটে নিয়ে এসেও তার ওপর নির্যাতন চলে। বাদী পক্ষের সহায়তায় পুলিশ আমার ছেলের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করেছে। আমার ছেলের ওপর নির্যাতনের বিচার চাই।'
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, 'বাগেরহাট পিবিআই পুলিশের সদস্যরা দুপুর ১টা ২০ মিনিটে রাজা ফকির নামের এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন রাজা ফকির মৃত। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।'
২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর উপজেলার খানজাহান আলী মাজার মোড় এলাকায় ছুরিকাঘাতে তালিম মল্লিক (১৮) নামের এক যুবক নিহত হন। পরে একই এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে মিলন ও রাজা ফকিরকে আসামি করে বাগেরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করেন তালিমের পরিবার। ওই মামলায় পিবিআই সদস্যরা রাজা ফকিরকে গ্রেপ্তার করেন।
পিবিআই বাগেরহাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, 'তালি, হত্যা মামলায় রাজা ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নেশাগ্রস্ত এবং আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ সঠিক নয়।'
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।