20924

04/23/2025 গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে হাজারো মৃতদেহ

গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে হাজারো মৃতদেহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:১৮

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলা চলছেই। মাঝে সপ্তাহখানেকের বিরতি চললেও হামলা আবারও শুরু হয়েছে। এছাড়া টানা দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার ৬০ শতাংশের বেশি বাড়িঘর ও আবাসিক ইউনিট ধ্বংস হয়ে গেছে।

এমনকি গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে হাজার হাজার লোকের মৃতদেহ। গাজার সিভিল ডিফেন্স ইউনিট এই তথ্য সামনে এনেছে বলে রোববার (৩ ডিসেম্বর) জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজার হাজার মৃতদেহ রয়ে গেছে বলে রোববার গাজা উপত্যকার বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো জানিয়েছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ঘাটতির কারণে এসব মৃতদেহ উদ্ধার করা যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছে তারা।

গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ভূখণ্ডটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ক্রমাগত তাদের দলকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করছে।

মাহমুদ বাসাল বলেছেন, ‘হাজার হাজার শহীদ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছেন এবং আমরা তাদের উদ্ধার করতে পারছি না। আমাদের সক্ষমতা এবং ব্যবস্থায় স্পষ্ট ও উল্লেখযোগ্য ঘাটতি রয়েছে। আমরা উত্তর গাজা উপত্যকায় ধ্বংসস্তূপের নিচে মৃতদেহের কাছেও পৌঁছাতে পারছি না।

এসময় তিনি গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা ইউনিটের জন্য সহায়তার আহ্বান জানান।

এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ৬০ শতাংশের বেশি বাড়িঘর ও আবাসিক ইউনিট ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছিল গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের সাথে এক সপ্তাহের মানবিক বিরতির পর গত শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় আবার বোমাবর্ষণ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজা উপত্যকায় ২৪ ঘণ্টায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এর আগে হামাসের আন্তঃসীমান্ত আক্রমণের পর গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]