সাত মাস পর ব্যাট হাতে মাঠে নামার পর একটু অস্বস্তি তো লাগারই কথা। যেটা জাতীয় দলের সব ব্যাটসম্যানেরই লাগছে। তবে মুমিনুল হক যেন এই জায়গায় একটু আলাদা। এতদিন পর ব্যাট হাতে নামলেন, দেখে মনেই হলো না।
বরং দারুণ আস্থা আর আত্মবিশ্বাসের পরিচয় দিয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন জাতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক। দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে রায়ান কুক একাদশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
আজ (শনিবার) ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষ সেশনে নিজের ১০০ পূর্ণ করেন বাঁহাতি মুমিনুল। একবারের জন্য আউট হবার সুযোগ না দেয়া এই লিটলম্যান ফিফটি ছুঁয়েছেন ১৩০ মিনিট ব্যাটিং করে ৯৭ বলে। যার মাঝে ছিল পাঁচটি বাউন্ডারি ও এক ছক্কার মার।
এরপর একদম শেষ ঘন্টায় গিয়ে পেসার ইবাদত হোসেনের বলে সিঙ্গেলস নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ২৪৪ মিনিটে, বল খরচ করেন ১৭৪টি। অর্থাৎ প্রথম পঞ্চাশের চেয়ে দ্রুত গতিতে ব্যাট চালানো মুমিনুলের শতরানে আছে এক ডজন বাউন্ডারি ও এক ছক্কা।
মুমিনুলের সেঞ্চুরির পাশাপাশি এদিন হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুনও। একবার জীবন পেয়েছিলেন, কিন্তু আউট হয়েছেন দুর্ভাগ্যজনকভাবে। যে বলে আউট হয়েছেন সেটি অনায়াসে ছক্কা হয়ে যেতে পারতো।
নাঈম হাসানের বলে ডিপ মিউইকেট থেকে কয়েক গজ দৌড়ে এসে সীমানার ওপর দারুণ এক ক্যাচ নেন ইমরুল কায়েস। ১১৯ বলে ৭ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় মিঠুন করেন ৬২ রান।
ওটিস গিবসন বাহিনীর ২৩০ রানের জবাবে আজ শেষ দিন সকালে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে রায়ান কুক বাহিনী। মাত্র ২ রানে আউট হন ওপেনার ইয়াসির আরাফাত।
মুশফিকুর রহীম ১৩ বলে ৩, সাদমান ১৪ বলে ১৩ রানে আউট হন। তিন উইকেটের দুটি পান পেসার ইবাদত হোসেন। অপর উইকেটটি আরেক পেসার হাসান মাহমুদের।
সেখান থেকে মুমিনুল আর মিঠুনের বড় জুটি। চতুর্থ উইকেটে ১৫৭ রান যোগ করেন তারা। শেষ খবর পাওয়া রায়ান কুক বাহিনী ৫৯ ওভার শেষে ৪ উইকেটে তুলেছে ১৯৬ রান। মুমিনুল ১০৭ এবং নুরুল হাসান সোহান ৪ রানে অপরাজিত আছেন।