25304

09/08/2024 জ্বর ঠোসা উঠলে কী করবেন

জ্বর ঠোসা উঠলে কী করবেন

ডাঃ অনুকা রায়

২০ মে ২০২৪ ১৭:১৯

জ্বর ঠোসা বা ফিভার ব্লিস্টারের সঙ্গে আমরা কম বেশি পরিচিত। একে অনেক সময় কোল্ড সোরও বলা হয়। মৌসুম বা আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে অনেকেরই জ্বর হচ্ছে। এ জ্বর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভাইরাসজনিত।

প্রায়ই এমন জ্বর সেরে যাওয়ার পর অনেকের ঠোঁটের পাশে ঠোসা বা ফুসকুড়ির মত উঠতে দেখা যায়। আবার কারও কারও প্রায় সারা বছরই ঠোঁটে বা নাকের পাশে জ্বর ঠোসা হয়। জ্বরের পরে এটি দেখা যায় বলে ইংরেজিতে এর নাম ফিভার ব্লিস্টার।

জ্বর ঠোসা হলে দেখতে যেমন খারাপ লাগে, তেমনি ব্যথায় কষ্ট পেতে হয়। বলা হয়ে থাকে, জ্বর ঠোসা ছোঁয়াচে। এটি সারতে সময় লাগে। অনেকে আবার বলেন ভিটামিনের অভাবে জ্বর ঠোসা হয়।

লক্ষণ

ঠোঁটের কোণে বা এর আশপাশে গুচ্ছবদ্ধ ফুসকুড়ি ওঠে। এ সময় অনেকের জ্বর থাকে বা জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পর এমন ফুসকুড়ি দেখা দেয়। ফুসকুড়িগুলো ব্যথা করে, মুখ খুলতে বা খেতে গিয়ে কষ্ট হতে পারে। এ সময় বমিভাব কিংবা বমি, মাথাব্যথা থাকতে পারে।

যে কারণে হয়

জ্বর ঠোসার মূল কারণ হলো হারপিস সিমপ্লেক্স টাইপ-১ ভাইরাসের সংক্রমণ। এই সংক্রমণের কারণেই জ্বরও আসে। তবে অন্য কোনো সংক্রমণজনিত জ্বরেও জ্বর ঠোসা উঠতে পারে, যদি সেই সংক্রমণের কারণে শরীরের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যায়।

করণীয়

অ্যান্টিভাইরাল উপাদানসমৃদ্ধ টি ট্রি অয়েল তুলায় নিয়ে জ্বর ঠোসায় ব্যবহার করুন। দিনে বেশ কয়েকবার ব্যবহারে ভাইরাসের সংক্রমণ মুক্ত হওয়া সম্ভব। এ ছাড়া সুতি কাপড় অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে ভিজিয়ে জ্বর ঠোসায় ব্যবহারে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। রসুনের কোয়া বেটে সরাসরি ক্ষত স্থানে দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার ব্যবহারেও দ্রুত উপকার পাবেন।

ক্ষতস্থানে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল–সমৃদ্ধ মধু লাগিয়ে রাখুন ৫ থেকে ১০ মিনিট। দিনে অন্তত দুবার ব্যবহার করুন। দেখবেন, জ্বর ঠোসা দ্রুত সেরে যাবে। জ্বর ঠোসা আক্রান্ত স্থানে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। তবে কোনোভাবেই জ্বর ঠোসা আক্রান্ত স্থানে নখ লাগাবেন না। অনেক সময় ব্লিস্টার হাত দিয়ে খোঁচাখুঁচির কারণে ইনফেকশন হয়ে ত্বকে আরও বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে। কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত এই সংক্রমণ থাকলে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

প্রতিকার

জ্বর ঠোসা যেহেতু ছোঁয়াচে, তাই সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত পানির গ্লাস, চামচ কিংবা প্রসাধনী ব্যবহারে বিরত থাকুন। এমনকি নিজের জ্বর ঠোসা স্পর্শ করলেও ভালো করে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। মানসিক চাপ মুক্ত থাকা ভালো। সানস্ক্রিন ক্রিম, লিপ-বাম ব্যবহার করা ঠোঁটের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। যেকোনো সংক্রমণ ঠেকাতে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো দরকার।

ডাঃ অনুকা রায়
স্ত্রী, প্রসূতি, বন্ধ্যাত্ব রোগ ও ল্যাপারোস্কপি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য)
ডিজিও, এফসিপিএস (গাইনী এন্ড অবস্)
ফেলোশীপ ইন ইনফার্টিলিটি (ব্যাঙ্গালোর, ইন্ডিয়া)
বন্ধ্যাত্ব ও টেস্টটিউব চিকিৎসায় উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত
ফেলোশীপ ইন ইনফার্টিলিটি (ব্যাঙ্গালোর, ইন্ডিয়া)
বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত (ইনফার্টিলিটি, IUI, IVF)
শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট, মাতুয়াইল, ঢাকা (ex)
বিএমডিসি রেজিঃ নং -এ-৪৮৯৪৬

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]