25399

09/17/2024 ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির তথ্য সিআইবিতে দেওয়ার নির্দেশ

ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির তথ্য সিআইবিতে দেওয়ার নির্দেশ

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

২১ মে ২০২৪ ২০:০২

ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে জুনের তথ্য জুলাইয়ের ১ তারিখে রিয়েল টাইমে রিপোর্ট করতে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে (এনবিএফআই) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ( ২১ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি থেকে এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চে এক সার্কুলারের মাধ্যমে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে ইচ্ছাকৃত খেলাপি চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ওই সার্কুলারের বলা হয়, কোনো ঋণখেলাপি গ্রাহকের ঋণ বেনামিতে নেওয়া হলে ও সেই ঋণের অপব্যবহার করলে তা ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি চিহ্নিত করতে গত ৯ এপ্রিলের মধ্যে ‘ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ গঠন করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এতে আরও বলা হয়েছিল, কোনো ব্যাংক এই নির্দেশনার শর্ত লঙ্ঘন করলে তাকে কমপক্ষে ৫০ লাখ ও সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হবে। আর শর্ত লঙ্ঘন অব্যাহত থাকলে প্রতিদিন এক লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।

কারা হবেন ইচ্ছাকৃত খেলাপি

ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি যে কেউ ইচ্ছাকৃত খেলাপি হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে ব্যাংক কোম্পানি আইনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধ না করলে এবং জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে কেউ ঋণ নিলে তা ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবে। এছাড়া যে উদ্দেশ্য ঋণ নেওয়া হয়েছে, তার বাইরে অন্য কাজে ঋণের অর্থ ব্যবহার করলেও তা চিহ্নিত হবে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে।

ইচ্ছাকৃত খেলাপি চিহ্নিত করতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দুই ধাপ নিচের কর্মকর্তার অধীনে ৯ এপ্রিলের মধ্যে পৃথক ইউনিট গঠন করতে হবে। এ ইউনিট কোনো খেলাপি গ্রাহক ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি কি না, তা খুঁজে বের করবে। নতুন করে কোনো গ্রাহক খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হলে, ওই গ্রাহক ইচ্ছাকৃত খেলাপি কি না, তা ৩০ দিনের মধ্যে যাচাই করবে।

কেউ ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হলে ১৪ দিন সময় দিয়ে তার বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য চিঠি দিতে হবে। ঋণগ্রহীতার বক্তব্য গ্রহণযোগ্য না হলে বা বক্তব্য উপস্থাপন না করলে ব্যাংক এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এরপর ৭ কর্মদিবসের মধ্যে গ্রাহককে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হওয়ার বিষয়টি অবহিত করে চিঠি দিতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি করায় গ্রাহক ক্ষুব্ধ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আপিল করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে।আপিল 

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]