25607

09/19/2024 ঘূর্ণিঝড় রেমাল : বরগুনায় বাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড় রেমাল : বরগুনায় বাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত

জেলা সংবাদদাতা, বরগুনা

২৬ মে ২০২৪ ২০:১৬

বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে তীব্র জোয়ারের পানির চাপে বাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পায়রা ও বিষখালী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে বরগুনা সদর ও আমতলী উপজেলায় এ প্লাবিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আমতলী উপজেলার আড়পাংগাশিয়া ইউনিয়নের পশরবুনিয়া নামক এলাকায় তিনটি ও সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা নামক এলাকায় দুইটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরগুনার বিভিন্ন নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় ৫০ সেন্টিমিটারেরও বেশি পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানির তীব্র চাপে দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এতে প্রায় পাঁচটি এলাকার লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। পাশাপাশি এসব এলাকার বিভিন্ন পুকুর ও ঘেরের মাছ জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে।

পশরবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আফজাল সিকদার বলেন, আমাদের এলাকার বেড়িবাঁধ আগে থেকেই দুর্বল ছিল। সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হলে বেড়িবাঁধ ভিজে নরম হয়ে যায়। পরে জোয়ারের পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে আমাদের এলাকায় পানি প্রবেশ করে।

উত্তর ডালভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সিকান্দার আলী বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আমাদের গ্রামসহ মাছখালি গ্রামও প্লাবিত হয়েছে। এতে গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়িই পানিতে তলিয়ে গেছে।

মাছখালী গ্রামের বাসিন্দা লতিফ মিয়া বলেন, দুপুরে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে। রাতে জোয়ারের চাপ বেশি থাকলে আবারও আমাদের গ্রামে পানি প্রবেশ করবে। এ ছাড়া রাতে যদি বাতাস ও বৃষ্টি হয় তাহলে আমাদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে।

এ বিষয়ে বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, বরগুনার বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ বেড়িবাঁধই সংস্কার করা হয়েছে। তবে এক থেকে দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ওইসব ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙেই লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বেড়িবাঁধ আমরা মেরামত করবো।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]