28128

09/19/2024 আলো থাকতেই নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন নোয়াখালীর বানভাসিরা

আলো থাকতেই নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন নোয়াখালীর বানভাসিরা

নোয়াখালী থেকে

২২ আগস্ট ২০২৪ ২০:২০

বসতঘর তলিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়েছেন অনেকেই। বাধ্য হয়ে দিনের আলো থাকতেই ট্রাকে করে নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন নোয়াখালীর বানভাসি মানুষ। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে জেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য।

জানা গেছে, টানা ভারী বৃষ্টি এবং মুহুরি নদীর পানিতে নোয়াখালীর ৮ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের মানুষ। এদিন সকাল থেকেই নোয়াখালীতে বজ্রসহ ভারী বর্ষণ হচ্ছে। ফলে বন্যায় থমকে গেছে জীবনযাত্রা।

মাইজদী বাজার এলাকার বাসিন্দা জানে আলম বলেন, পরিস্থিতি খুবই খারাপ। বাড়িঘর ডুবে গেছে। জান বাঁচানো ফরজ। মানুষ বাড়িঘর রেখে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছে। বাড়িঘরের মায়া ত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

মাসুদ নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, বাড়িতে এক সপ্তাহ ধরে পানি, থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। ঘরের সব আসবাবপত্র রেখে সমাজসেবা কার্যালয়ের আশ্রয় নিয়েছি।

রাশেদা বেগম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, আমার ঘর বাড়ি সব ডুবে গেছে। এখন আমি এতিমখানায় আশ্রয় নিয়েছি। ঘর থেকে কোনো মালামাল সরাতে পারিনি। সাপ বিচ্ছুর ভয়ে কিছু করতেও পারছি না। আমার সব পানিতে ভেসে যাচ্ছে।

আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে সহযোগিতা করা স্বেচ্ছাসেবী মো. দিদার বলেন, যাদের বাড়িঘর ডুবে গেছে তাদের মালামালগুলো মাইজদী বাজারের আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছি স্বেচ্ছাসেবীরা। এই মুহূর্তে তাদের বাড়িতে অবস্থান করা ঝুঁকিপূর্ণ। আলো থাকতেই নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন তারা।

নোয়াখালীর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখিনূর জাহান নীলা বলেন, আমাদের ১৩টি ইউনিয়নই প্লাবিত হয়ে গেছে। তাই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। সেসব আশ্রয়কেন্দ্রে আমরা সরকারি খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। এছাড়া সমাজের বিত্তবানদের যার যার অবস্থান থেকে আশপাশের মানুষের পাশে থাকার অনুরোধ করছি। এতে করে বিশাল বিপর্যয় আমরা কাটিয়ে উঠতে পারবো।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]