জয়পুরহাটের সদর উপজেলার বড় মাঝিপাড়া গ্রামে বস্তায় আদা চাষ করে সফলতার পাশাপাশি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তরুণ উদ্যোক্তা রুস্তম আলী। সেইসঙ্গে স্বপ্ন দেখছেন অধিক লাভের। তিনি আন্তঃফসল হিসেবে পেঁপের জমিতে ১ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছেন। পেঁপের পাশাপাশি আদা চাষ বেশ লাভজনক বলে মনে করেন তিনি।
রুস্তম আলী বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে ১ হাজার বস্তায় আদা চাষ করতে খরচ হয়েছে ৪৪ হাজার টাকা। প্রতি বস্তায় যদি ১ কেজি করেও আদা পাওয়া যায়, তাহলে উৎপাদন হবে ১ হাজার কেজি। বর্তমানে বাজারদর অনুযায়ী প্রতি কেজি ২২০ টাকা করে বিক্রি করলে ২ লাখের বেশি বিক্রি হবে। আবার একই জমিতে ১০০ পেঁপের গাছ আছে। সেখান থেকেও লক্ষাধিক টাকার পেঁপে বিক্রির স্বপ্ন দেখছি।’
স্থানীয় কৃষি উপসহকারী ইনসান আলী বলেন, ‘কৃষকেরা যাতে আন্তঃফসল হিসেবে বা বাড়ির পাশে পতিত জায়গায় আদা চাষ করে লাভবান হতে পারেন, সে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বস্তায় আদা চাষ করে রুস্তম আলী অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’
বড় মাঝিপাড়া গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, ‘রুস্তম যখন আদা চাষ করে; তখন এলাকার অনেকেই ভাবলাম, আদা চাষ মনে হয় আমাদের এদিকে হবে না। আজ এসে দেখি আদা অনেক ভালো হয়েছে। একটা বস্তা তুললো রুস্তম। সেখানে প্রায় আধা কেজি ৩ পোয়া করে ওজন আসতেছে। আমিও আগামীতে ১ বিঘা জমিতে আদা চাষ করবো।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মজিবুর রহমান বলেন, ‘বস্তায় আদা চাষের জন্য আলাদা করে জমির দরকার নেই। অনেকের বাড়িতে এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ হয়। আবার অতিবৃষ্টি বা বন্যায় ফসল ডুবে নষ্ট হওয়ার ভয়ও নেই। একটি ফসল তোলার পর আলাদা করে সার ছাড়াই আরেকটি ফসল ফলানো যায়। খরচও তুলনামূলক কম।’