28631

09/19/2024 মানুষ জীবনের মায়া না করে হাসিনার পতনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল : রিজভী

মানুষ জীবনের মায়া না করে হাসিনার পতনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩০

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার গত ১৬-১৭ বছরের শাসনে কেউ একটু শব্দ করতে পারতো না। বাংলাদেশের মানুষ কি চাইতো আর চাইতো না- শেখ হাসিনা সেটার ধার ধারতো না। মানুষের পিঠ দেয়ালে এমনভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছিল, মানুষ জীবনের মায়া না করে হাসিনার পতনের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে নার্সেস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বাংলাদেশ ইস্যুতে দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, এটা উসকানি কি না জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আপনারা (ভারত) কি নববধূকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য, তার জমিদারি পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছে!

ভারতের উদ্দেশে রিজভী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশ থেকে এক দানবকে তাড়িয়ে মুক্ত বাতাসে চলাফেরা করছে। এখন মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছে, শান্তিতে ঘুমাতে পারছে। এটা কি আপনারা চাচ্ছেন না? বাংলাদেশ গণতন্ত্র ফিরে আসুক, মানুষ শান্তিতে থাকুক, এটা কি ভারতের নীতি নির্ধারকরা পছন্দ করে না? বাংলাদেশ যে একটি বীরের জাতি এটা ভারতের মাথায় রাখতে হবে।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, যারা নিজের দেশের জনগণের ওপর অত্যাচার করেছে। মানুষকে হত্যা করেছে। আয়না ঘর বানিয়ে বছরের পর বছর মানুষকে আটকে রেখেছে। পুলিশ দিয়ে হত্যা-গুম করেছে। কিন্তু মানুষ তার জীবনের মায়া ত্যাগ করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে তাদের পতন ঘটিয়েছে। যেমনিভাবে ব্রিটিশদেরকে তাড়িয়েছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে, ঠিক তেমনি ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।

বিএনপি’র সহ-নার্সেস বিষয়ক সম্পাদক ও ন্যাব সভাপতি জাহানারা বেগমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ন্যাব সাধারণ সম্পাদক মো. সুজন মিয়া, সদস্য মো. মাহবুবুল ইসলাম, ইকবালুর রহমান রোকন প্রমুখ।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]