কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমে মোটরসাইকেলে যাত্রী তোলার ওপর সরকার নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন চালকরা।
বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কয়েশ’ মোটরসাইকেল চালক তাদের বাইক সড়কে রেখে বিক্ষোভ করেন এবং এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শাহবাগ এলাকা অবরোধ করেন রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল চালকরা।
বিক্ষোভকারীরা রাস্তা দখল করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। সেই সঙ্গে মোটরসাইকেলের হর্ন বাজিয়ে তারা ‘হয়রানির’প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী তাইবুর রহমান বলেন, মহামারি শুরুর পর টিউশনি চলে যাওয়ায় তিনি কিস্তিতে মোটরসাইকেল কেনেন। রাইড শেয়ারিংয়ের আয় দিয়ে এতদিন লেখাপড়ার খরচ চলছিল। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধির দোহাই দিয়ে আমাদের সড়কে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। খরচ আসবে কোত্থেকে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বুধবার এক চিঠিতে রাইড শেয়ারিং সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুই সপ্তাহ মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং সেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।
পাশাপাশি অন্যান্য মোটরযানে রাইড শেয়ারিং সেবার ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে বলা হয় চিঠিতে।
বিক্ষুব্ধ চালকরা বলছেন, বাস, অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনে যাত্রীরা যেখানে ‘গাদাগাদি’ করে যাচ্ছে, সেখানে করোনাভাইরাস ঠেকাতে মোটরবাইকে যাত্রীসেবা নিষিদ্ধ করা হল কেন?