33298

03/12/2025 জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স কোর্স তিন বছর করার পরিকল্পনা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স কোর্স তিন বছর করার পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:২১

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান চার বছরের স্নাতক (সম্মান) কোর্সকে তিন বছর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বাকি এক বছর বাধ্যতামূলকভাবে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শিক্ষাজীবন শেষ করে শিক্ষার্থীরা যাতে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভালো ভালো চাকরি করতে পারেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের যৌথ উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শিক্ষা : যান্ত্রিক স্বয়ংক্রিয়তার যুগে মানবসত্তা ও মানবিক ক্ষমতার স্বকীয়তা, সুরক্ষা এবং বিকাশ’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের (আমাই) অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে এম আমিনুল ইসলাম বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চার বছরের অনার্স কোর্সকে তিন বছরের কোর্স করা হবে। বাকি এক বছরে ডিপ্লোমা ও কারিগরির ওপর ব্যাপকভাবে শিক্ষা দেওয়া হবে। তারপর তাদের দুটো সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, একটা অনার্সের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে; আরেকটা ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট দেওয়া হবে, যে সার্টিফিকেটটা ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে সবার কাছে। তার অনার্স পড়ার যে ড্রিম তাও ঠিক থাকল, আর চাকরিও তারা পাবে, অনেক ভালো চাকরি।

নতুন ব্যবস্থায় কর্মসংস্থানে বেগ পেতে হবে না বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী। আমিনুল ইসলামের ভাষায়, মনে হয় একটা অভিনব-অসাধারণ সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে।

ডিপ্লোমা বা কারিগরি ডিগ্রি নিয়ে অনেকের নাক সিটকানো মনোভাব রয়েছে, সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, এটা একটা ট্যাবু, স্টিগমা রয়েছে গোটা দেশের ভেতর ডিপ্লোমা যদি পড়ে, কারিগরি যদি পড়ে, তাহলে এটা খুব খারাপ একটা বিষয় হবে। লোকের কাছে মুখ দেখাতে পারবে না। এটার জন্য খুব অভিনব ব্যবস্থা করতে যাওয়া হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে।

কারিগরি শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন আনা হবে জানিয়ে অধ্যাপক আমিনুল বলেন, যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল দেশের জন্য, সেটা সবচেয়ে অনুন্নত অবস্থায় আছে। তাদের যে শিক্ষক দরকার, তার ১৮ পারসেন্ট রয়েছে। তাদের প্র্যাক্টিকাল ও থিওরি আছে। প্র্যাক্টিকালের জন্য ল্যাবরেটরি নাই, ট্রেইনার নাই, টিচার নাই। তাই থিওরি পড়িয়ে দেওয়া হয়, পরে ভাইভা নেওয়া হয়। প্র্যাক্টিকাল করানোই হয় না, কিন্তু তার ভিত্তিতেই সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হয়। এটার আমূল পরিবর্তন করা হবে।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান।

আলোচক ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এ ছাড়া সম্মানিত অতিথি ছিলেন হেড অব অফিস অ্যান্ড ইউনেস্কো রিপ্রেজেন্টেটিভ টু বাংলাদেশ সুজান ভাইজ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল সিদ্দিক জোবায়ের।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]