আমরা নিয়মিত আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি। কোনো দোয়া কবুল হয়, তাৎক্ষণিক এর ফলাফল পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় তাৎক্ষণিক দোয়ার ফলাফল পাওয়া যায় না। আমাদের মনে হয় দোয়া কবুল হলো না। আল্লাহ তায়ালার কাছে চেয়ে লাভ হলো না। কিন্তু ব্যাপারটি এমন নয়। আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করলেই তা কবুল হয়, হয়তো তাৎক্ষণিক এর ফলাফল পাওয়া যায়, অনেক সময় পরবর্তীতে দোয়ার ফলাফল লাভ করে বান্দা। কখনো কখনো দোয়ার ফলাফল মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের জন্য রেখে দেন আল্লাহ তায়ালা।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, দোয়া কবুল হওয়ার অর্থ হচ্ছে, দুনিয়াতেই প্রার্থিত বিষয় লাভ করা বা দোয়ার সওয়াব কিয়ামত দিবসের জন্য সঞ্চিত রাখা অথবা কোনো মুসীবত দূর করা অথবা গুনাহ মাফ করে দেওয়া। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস :৩৩৮১, ৩৬৭৭)
আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, বান্দার দোয়া সবসময় কবুল হয়, যতক্ষণ সে কোন গুনাহ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার দোয়া না করে বা তাড়াহুড়া না করে। (মুসলিম, হাদিস : ২৭৩৫)
দোয়া কবুল না হওয়ার সাতটি কারণ তুলে ধরা হলো—
১. শিরকে লিপ্ত হওয়া।
২. কোনো মুসলমানের সাথে কলহ বিবাদে লিপ্ত থাকা।
৩. মদ্যপানে অভ্যস্ত থাকা।
৪. পিতা-মাতার নাফরমানিতে লিপ্ত থাকা।
৫. খাবার-দাবার, লেবাস-পোশাক হারাম হওয়া।
৬. কোন গুনাহের বিষয়ে দোয়া করা।
৭. দোয়া করে কবুল হওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করা। অর্থাৎ একথা বলা যে, আমি অনেক দোয়া করলাম কিন্তু কবুল হতে দেখলাম না।
দোয়ার ফজিলত
হাদিস শরিফে দোয়াকে ইবাদতের মগজ আখ্যায়িত করা হয়েছে। দোয়া কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহর ওলি হওয়া জরুরি নয়। যেকোনো পাপী বান্দার দোয়াও মহান আল্লাহ কবুল করেন। আল্লাহর রাসূল সা. যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে দোয়ায় মত্ত হয়ে যেতেন।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমার কাছে আমার বান্দা আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে (তখন বলে দাও যে), নিশ্চয়ই আমি তাদের কাছে। প্রার্থনাকারী যখন আমাকে ডাকে, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিই। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় ও ঈমান আনয়ন করে। আশা করা যায়, তারা সফলকাম হবে।’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৬)