বেশ লম্বা সময় ধরে রান খরায় যাচ্ছিলো বিরাট কোহলি। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সিরিজে অর্ধশতক হাকিয়ে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। এবার দুবাইয়েও ফর্মে ফেরার জন্য সেই পাকিস্তানকেই বেছে নিলেন কিং কোহলি। ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংসে পরিণতি যেমন ছিল, তেমনই ছিল বিরাট আভিজাত্য। ২০২২ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ছিল ৮২ রানের বিশ্বস্ত ইনিংস।
ম্যাচ শেষে রানের খরা কাটা নিয়ে বিরাট বলেন, ‘রোহিত আউট হওয়ার পরে আমার কাজটা ছিল উইকেটে থাকা। কাজটা ঠিকঠাক করতে পারা খুব জরুরি ছিল। শুবমান এমনি এমনি আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর হয়নি। চমৎকার ব্যাট করছিল। ও আউট হওয়ার পরে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন আপনার সময় খারাপ যায়, তখন আপনাকে নিজের উপর বিশ্বাস রাখতেই হবে। আমি এই নেমপ্লেটেই বিশ্বাস রেখেছিলাম। জানতাম, শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। টিমের জন্য অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে।’
এদিকে ম্যাচ শেষে বিরাট কোহলিকে নিয়ে রোহিত শর্মা বলেন, ‘বিরাটকে নিয়ে নতুন করে আমি কী বলব? ও দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পছন্দ করে। পাকিস্তান ম্যাচ হলে আরও বেশি তেতে থাকে। কী ভাবে যেন বদলে যায়। এটা সবাই জানে। আবার আপনারা দেখলেন, ও কী করতে পারে। নিশ্চিন্তে ম্যাচটা বের করে দিল।’
আলাদা করে বোলারদের প্রশংসা করে রোহিত বলেন, ‘হার্দিকের আটটা ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কুলদীপ, অক্ষর, জাদেজাও দুরন্ত। কিন্তু সামনে এখনও কাজ বাকি। সেমিফাইনাল–ফাইনালে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।’
ম্যাচে স্পিনারদের দারুণ সামলেছেন কোহলি। ঝুঁকি নিয়েছেন পেসারদের বলে। পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন করেই সফল হয়েছেন এই তারকা। রান তাড়া করতে নেমে পেসার থেকে স্পিনারদের একটু দেখে সামলিয়েছেন কোহলি। ঝুকি নিয়েছেন পেসারদের বিপক্ষে। এ প্রসঙ্গে বিরাট বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এমন ব্যাটিং করলে ভালোই লাগে, যেখানে সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা সামনে আছে। রোহিত আউট হওয়ার পর আমার কাজ ছিল মাঝের ওভারগুলোতে খেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়া। স্পিনারদের নয়, পেসারদের বিপক্ষে ঝুঁকি নেওয়ার। ওয়ানডেতে আমি এভাবেই খেলি।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের সময় ওয়ানডেতে ভারতের হয়ে ফিল্ডারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। ৪৭তম ওভারে নাসিম শাহ আউট হন কোহলির মুঠোবন্দী হয়ে। আর তাতেই সাবেক ভারত অধিনায়ক আজহারউদ্দিনকে (১৫৬ ক্যাচ) টপকে যান কোহলি। আজহারউদ্দিন জাতীয় দলের জার্সিতে নিয়েছেন মোট ১৫৬ ক্যাচ।
ম্যাচ শেষে কোহলি বলেন, ‘সত্যি বলতে বয়স বাড়লে তো ভালোই লাগে! যাদের ২৩-২৪ বছর তাদের কেমন লাগছে কে জানে, আমার তো ভালো লাগে! এই বয়সেও আমি মাঠে পরিশ্রম করতে চাই। ফিল্ডিংয়ে নিজের শতভাগ দিতে হবে। নিজের কাজটা করে যেতে হবে। এ নিয়ে গর্বও অনুভব করি। আপনি যখন মাথা নিচু রেখে নিজের কাজটা করবেন, কাজ হবে। পরিষ্কার একটা ধারণা গুরুত্বপূর্ণ, বলে যখন গতি থাকবে, আপনাকে রান করতে হবে।’