জুলাই ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়েছিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশার সহকারী আল-আমিন। বিষয়টি ফেসবুকে অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে এক আবেগঘন বার্তায় জানান পাঁচ বছর ধরে তার সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন শহীদ আল-আমিন।
দীর্ঘ ৭ মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য জুলাই ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আল-আমিনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। কবর থেকে লাশ তোলার বিষয়টি নজর এড়ায়নি অভিনেত্রীর।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সহকারীর লাশ তোলার বিষয়ে একটি পোস্ট করেন তিশা। তিনি বলেন, ‘কবর থেকে মরদেহ ওঠানোর মতো নির্মম বিষয়টি মোটেও সমর্থন করছি না। কে বা কারা লাশ ওঠানোর পেছনে জড়িত, চিন্তা করে হতবাক আমি !’
অভিনেত্রী ওই পোস্টে লিখেছেন, ‘আল- আমিন শুধুমাত্র সহকারী নয়, সে আমার ভাই। সে আমার সাথে পাঁচটি বছর ছিল। ও নিষ্পাপ একটি ছেলে এবং জুলাই- আগস্ট আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়।’
তিনি যোগ করেন, ‘মৃত্যুর সাত মাস পর তার মরদেহ কবর থেকে ওঠানোর মতো নির্মম বিষয়টি আমি মোটেও সমর্থন করছি না। এই কর্মের মাধ্যমে কি লাভ হবে? শুধুমাত্র ওর আত্মাটা কষ্ট পাচ্ছে। পুরো বিষয়টা জানার পর, মেনে নেয়া অনেক কষ্টদায়ক।’
সবশেষে লিখেছেন আল-আমিনের লাশ উত্তোলনে হতবাক অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘এর পেছনে যে বা যারা জড়িত, তারা কোন উদ্দেশে এই কাজটি করেছে তা চিন্তা করে খুবই হতবাক আমি! ভাইয়া তুই ভালো থাকিস।’