রাজবাড়ী, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলার সীমানা দিয়ে বয়ে যাওয়া গড়াই নদীতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কুমির আতঙ্ক বিরাজ করার পর অবশেষে ঝিনাইদহের শৈলকূপার গড়াই নদী পাড়ের লোকালয় থেকে ধরা পড়েছে একটি কুমির।
বুধবার (১২ মার্চ) রাত ৯টার দিকে উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের গড়াই নদী পাড়ের সুবিদ্দা গোবিন্দপুরে গ্রামবাসী দেখতে পেয়ে মাছ ধরার জাল দিয়ে কুমিরটিকে ঘেরাও করে ধরে ফেলে।
স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘ প্রায় দুই মাস ধরে আমরা গড়াই নদী পাড়ের তিন জেলার মানুষ কুমির আতঙ্কে ছিলাম। অবশেষে শৈলকুপার গোবিন্দপুর এলাকার গড়াই নদী থেকে একটি কুমির উপরে ওঠে লোকালয়ের দিকে যাচ্ছিলো। সে সময় মাছ ধরার জাল দিয়ে কুমিরটিকে ধরে ফেলা হয়। কুমিরটি প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট লম্বা। পরে কুমিরটিকে মজবুত করে বেঁধে ভ্যানে করে এলাকায় আনন্দ মিছিল করে এলাকাবাসী।
ঝিনাইদহ জেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, গড়াই নদীতে ভেসে বেড়ানো কুমিরটি নদী থেকে রাতে গোবিন্দপুর গ্রামে লোকালয়ের দিকে ওঠে এলে স্থানীয়রা কুমিরটিকে আটক করে। স্থানীয়া কুমিরটি ধরার পর আনন্দ-উল্লাস করেছে। পরে উৎসুক জনতার ভীড়ের কারণে কুমিরটিকে শৈলকুপা থানা হেফাজতে রাখা হয়েছিল। খুলনা থেকে বন বিভাগের একটি দল এলে শৈলকুপা থানা এবং উপজেলা বন বিভাগের মাধ্যমে তাদের কাছে কুমিরটিকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস কুমির ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খুলনা বন বিভাগকে জানানো হয়েছিল। বন বিভাগের একটি দল রাতেই এসে কুমিরটি নিয়ে গেছে।