কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় সাবেক উপসচিব এ কে এম রেজাউল করিম রতনকে (৬০) খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন। এদিন রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা থাকাকালে রেজাউল করিম রতন ২০১৬ সালে মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ওই সময় কলেজে পড়ুয়া ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। এরপর বিয়ের আশ্বাসে তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন। একপর্যায়ে ২০১৭ সালের ১২ জুন আসামি রেজাউল করিম তার অফিসে ডেকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ভুক্তভোগীকে পান করান এবং ঘুমন্ত অবস্থায় ধর্ষণ করেন। পরে এই ঘটনার ভিডিও আছে বলে ভয় দেখিয়ে এক বছর ধরে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে চলেন আসামি রেজাউল।
এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৮ জুলাই ধানমন্ডি থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কুইন আক্তার। একই বছরের ২৫ জুন মামলার অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন ঢাকার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক সহিদুল ইসলাম। মামলার বিচার চলাকালে আদালত সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
এদিকে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এরশাদ আলম জর্জ বলেন, এ মামলার রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।