দেশে এখনো চালু থাকা পর্নোগ্রাফির সব ওয়েবসাইট শুক্রবারের (১৪ মার্চ) মধ্যে বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি এ তথ্য জানান।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশে পর্নোগ্রাফির অনেক ওয়েবসাইট চালু আছে ও চালু করা হয়েছে। সেগুলো আমাদের নজরে এনেছে। ফলে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সেসব ওয়েবসাইট অচিরেই বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ এটার সঙ্গে ধর্ষণের সম্পর্ক রয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইট বন্ধে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি শুক্রবারের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে কিশোর-কিশোরীদের ৬৩ শতাংশই ইন্টারনেটে আসক্ত। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৯ শতাংশ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। ফলে সমাজে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ অবস্থায় অভিভাবকসহ সচেতন মানুষরা দীর্ঘদিন ধরে পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইটগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন। এরই প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বিটিআরসি ১২ হাজার ৩টি অনলাইন জুয়ার সাইট বন্ধ করেছিল। তখন হাজারের বেশি পর্নোগ্রাফির সংখ্যক সাইট বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু সামগ্রিকভাবে এসব কার্যক্রম বন্ধ করা যায়নি।