উচ্চ শিক্ষাস্তরে ৩টি মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। পুস্তক প্রকাশ এবং গ্রন্থস্বত্ব বিষয়ে পাণ্ডুলিপি প্রণেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন জন শিক্ষকের সঙ্গে পৃথক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইউজিসি।
আজ (মঙ্গলবার) ইউজিসি সভাকক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান।
ইউজিসির পক্ষে কমিশনের সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং ‘সতীনাথ ভাদুড়ীর সাহিত্যকর্ম: প্রসঙ্গ ও প্রকরণ’ গ্রন্থের লেখক ড. মাখন চন্দ্র রায়, ‘একুশে আলপনা: মেয়েলি আলপনার রূপান্তর ও নব রাজতৈনিক- সংস্কৃতির বিস্তার’ গ্রন্থের লেখক দীপ্তি রানী দত্ত এবং ‘পঞ্চতন্ত্রের সমাজ, রাজনীতি ও নৈতিকশিক্ষা’ গ্রন্থের লেখক ড. কালীদাস ভক্ত পৃথকভাবে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
ইউজিসির জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের উপ-পরিচালক মৌলি আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে একই বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান, উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ড. তানজীমউদ্দিন খান বলেন, উচ্চশিক্ষাস্তরে এ গ্রন্থসমূহ নতুন জ্ঞান সৃজনে সহায়তা করবে। পাণ্ডুলিপিগুলো পুস্তকাকারে প্রকাশিত হলে উচ্চশিক্ষাস্তরের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি উচ্চশিক্ষায় মানসম্মত পুস্তক প্রকাশে ইউজিসির সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
ড. তানজীমউদ্দিন খান আরও বলেন, দেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন প্রত্যাশার সঞ্চার হয়েছে। ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে ইউজিসির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা হবে। গবেষণা সহায়তা বৃদ্ধি, নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষকদের সাথে সম্পর্কোন্নয়নে ইউজিসি কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে গবেষণা ও প্রকাশনায় উৎসাহ দানের জন্য লেখকেরা ইউজিসিকে ধন্যবাদ জানান। জ্ঞান সৃজন ও বিস্তারে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে ইউজিসিকে জোরালো ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন। এ ছাড়া পাণ্ডুলিপি প্রণেতাগণ মানসম্মত গ্রন্থ প্রকাশে প্রুফ রিডিং, প্রচ্ছদ ডিজাইন এবং মেকআপে ইউজিসিকে আরও আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, ড. মাখন চন্দ্র রায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ, দীপ্তি রানী দত্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাচ্যকলা বিভাগ ও ড.কালীদাস ভক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে শিক্ষকতায় যুক্ত আছেন।