অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি চলাকালেই শোনা গিয়েছিল অভিযোগ। ভারতের ড্রেসিংরুমের খবর বাইরে প্রকাশ করা হচ্ছে, এমন কথা শোনা যাচ্ছিল সিরিজের মাঝপথে গিয়ে। একপর্যায়ে উঠে এসেছিল উইকেটরক্ষক ব্যাটার সরফরাজ আহমেদের নামটাও। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারদের নামও ছিল অভিযোগের খাতায়।
তবে এতগুলো দিন পর সেই নাটকে এলো নতুন মোড়। ভারতের একাধিক গণমাধ্যমের খবর, ড্রেসিংরুমের কথা বাইরে প্রকাশের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বরখাস্ত করা হয়েছে দলের তিন কোচকে। সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার, ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ এবং স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেসাই আছেন বাদ পড়ার তালিকায়। ভারতকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা এনে দেয়ার দুই মাসের মধ্যে ছাঁটাই হতে হলো তাদের।
ভারতের ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সাফল্য দিয়ে তাদের রেখে দেয়ার বিবেচনা করেনি। দলের খবর বাইরে প্রকাশ করার অপরাধটাই বড় করে দেখছে। সেইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ৩-১ ব্যবধানে হেরে আসার শাস্তিটাও পেতে হচ্ছে তাদের।
ভারতের হারের কারণ হিসাবে এই তিন জনের ব্যর্থতার কথা উঠে এসেছে ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে। তাদের জায়গায় কে আসছেন তা এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি। আইপিএলের ব্যস্ততা শেষে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ফিল্ডিং কোচ এবং সহকারী কোচের দায়িত্বটা সামাল দেবেন রায়ান টেন ডেসকাট। তবে স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ সোহমের বদলে আসতে পারেন আদ্রিয়ান লে রুস।
অবশ্য ভারতের ব্যর্থতাকেই এই তিনজনের ছাঁটাইয়ের মূল কারণ বলতে নারাজ অনেকেই। একই কোচিং প্যানেল ভারতকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও এনে দিয়েছে কদিন আগে। প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরকে রেখে তাদের ছাঁটাই করার পেছনে মূলত শৃঙ্খলাজনিত কারণকেই তাই বড় করে দেখা হচ্ছে।
গম্ভীর কোচ হয়ে আসার পর কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকে নিয়ে এসেছিলেন অভিষেক নায়ারকে। গম্ভীরের শর্ত মেনেই রাজি হয়ে যায় বোর্ড। কিন্তু আট মাসেই চাকরি থেকে অভিষেকের। আর টি দিলীপ থেকে গম্ভীরের কোচিং প্যানেলের একমাত্র সদস্য যিনি রাহুল দ্রাবিড়ের প্যানেলেও ছিলেন। ড্রেসিংরুমে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন দিলীপ।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিষেক বা সোহমের মতো দিলীপকেও ছাঁটাই করতে বাধ্য হলো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আইপিএলের পর ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শুরু হবে ভারতের আগামী টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র। তার আগেই নিজেদের দল গুছিয়ে নেয়ার তাগিদে বিসিসিআইয়ের আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত।