ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পা হারানো সেই মোবারক মিয়া (৪৫) মারা গেছেন। তিনদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত মোবারক নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, নবীনগরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হাজিরহাটি গ্রামে দাঙ্গাবাজরা মোবারকের বাম পা গোড়ালীর ওপরের অংশ থেকে কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করে। এরপর কাটা পা হাতে নিয়ে আনন্দ মিছিল করে। এসময় ‘জয়বাংলা’ স্লোগান দেয় দাঙ্গায় জড়িত হামলাকারীরা। পরিবারের লোকজন জানান- তার ডান পা-ও কুপিয়ে আলাদা করার চেষ্টা হয়। দুই হাত এবং পিঠেও বেশ কয়েকটি কোপ দেয়া হয়। কয়েক দফায় চলা ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ৪দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মারা যান মোবারক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষ চলাকালে জিল্লুর রহমানের সমর্থক মোবারক মিয়ার এক পা কেটে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিল করেন আবু কাউসার মোল্লার সমর্থকরা। মিছিল থেকে পায়ের বদলে মাথা কেটে নিয়ে আসার কথাও বলা হয়। এছাড়াও সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ দুই পক্ষের ‘প্রধান হোতা’ জিল্লুর রহমান ও আবু কাউসার মোল্লাসহ ৪২ জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।