ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৬৫ আহত হয়েছে। রোববার রাতে জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউপিতে এ সংঘর্ষ ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ডিঘর ও সূচীউড়ার তিতাস নদীর পাড়ে ফারুক মিয়া ধান মাড়াই করছিল। সে সময় কামাল মিয়া নামে এক ব্যক্তি ধান মাড়াইয়ের উপর একটি ছোট ট্রাক উঠিয়ে দেয়। তখন ফারুক বাধা দেয়। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। পরে বিষয়টি দু’পক্ষের লোকজন জানতে পেরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তখন উভয়পক্ষ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে টানা রাত ৯টা পর্যন্ত। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
সে সময় কামালের পক্ষের লোকজন পুলিশের উপর চড়াও হয়। তখন ফের শুরু হয় ত্রিমুখী সংঘর্ষ। এসময় ৫ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের ৬০ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। আহতদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরবর্তীতে সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান বলেন, করোনার ভয়ে মানুষ যখন ঘরে বন্দী, নাসিরনগরে তখন প্রতিদিনই ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনা। যা খুবই দুঃখজনক। গতকাল একটি সাধারণ বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে ৫ পুলিশসহ উভয় পক্ষের ৬০ জন আহত হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়।