ফৌজদারি অপরাধের পাশাপাশি আইন লঙ্ঘনের জন্য শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কয়েকটি ধারা রেখে ফাইন্যান্স কোম্পানী আইন, ২০২১ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (৩১ মে) সকালে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
পরে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন,আইনটি অনেক বড় ৭১টি ধারা রয়েছে। ১৯৯৩ ফাইন্যান্সিয়াল ইনষ্টিটিউশন যে অ্যাক্ট ছিল সেটাকে পরিবর্তন করে ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানী আইন-২০২১ করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশে যত নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলো ১৯৯৩ ফাইন্যান্সিয়াল ইনষ্টিটিউশন অ্যাক্ট দ্বারা পরিচালিত হোত তবে আইনটিতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছুটা জটিলতা থাকায় এই নতুন আইনটি নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃর্ক প্রদত্ত ফাইন্যান্স কোম্পানীর লাইসেন্স ছাড়া বাংলাদেশে কোন আর্থিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমনকি ইসলামী শরিয়্যাহ ভিত্তিক ব্যবসাও পরিচালনা করতে পারবেনা।
সচিব বলেন, নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষকে অনেক বড় বড় মুনাফার লোভ দেখায় এবং মানুষ প্রলোভনে পড়ে অনেকে সেখানে টাকা জমা রাখে। যেমন যুবক’র কথা নিশ্চই আপনাদের মনে আছে অনেক লোক সেখানে টাকা জমা করে সর্বস্ব হারিয়েছিল। সেজন্য এই আইনে সর্বোচ্চ জমা এবং লভ্যাংশ প্রদানের হার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন আইনে বিদ্যমান আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কোম্পানীতে পরিনত হতে নতুন করে নিবন্ধনের বা বর্তমান স্মারক পরিবর্তনের প্রয়োজন হবেনা।
সচিব বলেন, কোনও কতৃর্পক্ষের দেউলিয়া ইস্যু আদালতের বাইরে সমাধান করা যায় কিনা এবং বিষয়টি প্রস্তাবিত আইনে অন্তভর্’ক্ত করা যেতে পারে কিনা তা পর্যালোচনা করার জন্য মন্ত্রিসভা পর্যবেক্ষন দিয়েছে। যেটা ঐখানে ছিলনা কিন্তু পর্যবেক্ষনটা মন্ত্রিসভা দিয়েছে। তাহলে বছরের পর বছর মামলা মোকদ্দমা চলার পরিবর্তে একটা যুগান্তকারি ব্যাপার হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন আদালত একটি সংস্থাকে দেউলিয়া ঘোষণা করলে হাইকোর্টের রায় অনুসরণের পরে দেউলিয়া সংক্রান্ত জটিলতাগুলো অপসারণ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, এখানে অপরাধের জন্য বিভিন্ন শাস্তির ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে।
এছাড়া এদিন বিরোধী দলীয় নেতা এবং উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন,২০২১ এর খসড়ার নীতিগত/চুড়ান্ত অনুমোদন এবং বাংলাদেশ হোমিও প্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২১ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সূত্র : বাসস