5024

03/12/2025 ঢাকায় ৬০টি নমুনার মধ্যে ৪১টিতেই ভারতীয় ধরন

ঢাকায় ৬০টি নমুনার মধ্যে ৪১টিতেই ভারতীয় ধরন

স্বাস্থ্য ডেস্ক

১৮ জুন ২০২১ ১৭:২০

ঢাকা থেকে সংগ্রহ করা ৬০টি নমুনার মধ্যে ৪১টিতেই (৬৮ শতাংশ) ভারতীয় ধরন পেয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। ২২ শতাংশ নমুনায় পাওয়া গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন। বাকি নমুনাগুলো অন্য ধরনের। মে মাসের শেষ সপ্তাহ ও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

বাংলাদেশে ভারতীয় ধরন শনাক্ত বাড়ায় সীমান্তবর্তী জেলাগুলো ছাপিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়ছে সংক্রমণ। সীমান্তবর্তী জেলাগুলো টালমাটাল করে দিয়ে পরিস্থিতি এখন অবনতি হতে শুরু করেছে রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব প্রান্তেই। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। লকডাউনেও সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কমছে না করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু।

নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৩-১৪ শতাংশেই আটকে থাকছে। ঢাকায় সে হার ৪ শতাংশ থেকে লাফিয়ে এখন সাড়ে ৭ শতাংশ পৌঁছেছে।

এরই মধ্যে ঢাকা থেকে সংগ্রহ করা ৬০টি নমুনার মধ্যে ৪১টিতেই (৬৮ শতাংশ) ভারতীয় ধরন পেয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। ২২ শতাংশ নমুনায় পাওয়া গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন। বাকি নমুনাগুলো অন্যান্য ধরনের। মে মাসের শেষ সপ্তাহ ও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানউর রহমান মনে করেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণেই ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়েছে এবং কোভিড পরিস্থিতি আবারও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।

তিনি বলেন, ‘তৃতীয় ওয়েব সারাদেশে ছড়িয়ে যাবে এটাই মনে হচ্ছে। কী পরিমাণ মৃত্যু হচ্ছে বা সংক্রমণ বাড়ছে সেটা কিন্তু আমরা সঠিকভাবে জানতে পারছি না। তবে অনেক বেশি সংক্রমণ হচ্ছে এটা বোঝা যাচ্ছে। টেস্টের অভাবে আমরা সঠিক সংখ্যাটা জানতে পারছি না।’

এর আগে ৩ জুন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে করোনার ৫০টি নমুনা পরীক্ষা করে তার মধ্যে ৪০টি ভারতীয় ধরন পাওয়া গিয়েছিল বলে জানানো হয়। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইডিএসএইচআই) করোনাভাইরাসের ৫০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে।

দেশে গত ৮ মে প্রথম ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয় বলে জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ভারতে দ্রুত করোনা সংক্রমণ ঘটার পেছনে নতুন এই ধরনটিকে দায়ী মনে করা হচ্ছিল। পরে, ভারতীয় ধরন ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে পণ্যবাহী যান ছাড়া সব ধরনের যাতায়াত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই আসে লকডাউনের সিদ্ধান্ত। তবে ছন্নছাড়া লকডাউনে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

ঈদুল ফিতরের পর ভারতের সীমান্তবর্তী ১৫টি জেলায় রোগী দ্রুত বাড়তে শুরু করে। গত কিছুদিন ধরে সারাদেশেই রোগী বাড়তে শুরু করেছে।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]