5149

03/13/2025 লটকনের স্বাস্থ্য গুণ

লটকনের স্বাস্থ্য গুণ

লাইফস্টাইল ডেস্ক

১ জুলাই ২০২১ ০৩:০৮

টক-মিষ্টি স্বাদের টসটসে লটকন দেখলে জিভে পানি চলে আসবে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। রসালো এই ফলটি দিনদিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর রয়েছে বেশ কিছু উপকারিতা। নানান ফলের ভিড়ে লটকনের গুণের কথা অনেকেই জানে না। এটি একটি পুষ্টিকর ফল। এতে ভিটামিন ও খাদ্যশক্তিসহ নানারকম খনিজ উপাদান রয়েছে। লটকন খেলে কি হয় জানেন? জানলে হয়তো এখনই খেতে বসে পড়বেন!

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে লটকনে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া ঠাণ্ডা-কাশি সারাতে বেশ কার্যকর। দাঁত নিয়ে অনেকের কষ্টের শেষ নেই। দাঁতের ব্যাথায় সুন্দর মুহুর্তগুলো হয়ে উঠে বিষাদময়। নানা কারণে দাঁতের সমস্যা হতে পারে। এসব সমস্যার সমাধান হতে পারে লটকন। লটকনে থাকা ভিটামিন সি দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে। এছাড়া এই ফলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে, যা শরীরের রক্তশূন্যতা পূরণ করে।

কলার মতো লটকন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ উপকারি। এছাড়া এই ফল হাড় গঠনে সহায়তা করে। নিয়মিত লটকন ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খেলে হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি কমে। লটকনে থাকা ফাইবার হজমক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সবচেয়ে বড় কথা হল, লটকন কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।

একনজরে দেখে নেয়া যাক লটকনের উপকারিতা:
১. প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের কোয়ায় খাদ্যশক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি। অবাক বিষয় হলো এতে ক্যালরি আছে আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ।

২. লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভিটামিন ‘বি’। এতে ভিটামিন বি-১ এবং ভিটামিন বি-২ আছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ০৪ মিলিগ্রাম এবং ০.২০ মিলিগ্রাম। ফলে পাকা লটকন খাদ্যমানের দিক দিয়ে খুবই সমৃদ্ধ।

৩. লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এইসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৪. লটকন খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় সহজেই। তৃষ্ণাও নিবারণ করে। মানসিক চাপ কমায় এ ফল। এর গাছের ছাল ও পাতা খেলে চর্মরোগ দূর হয়।

৫. লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ আছে। সিজনের সময় প্রতিদিন দুই-তিনটি লটকন খাওয়া মানেই আমাদের দৈনন্দিন ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা পূরণ হওয়া। এ ছাড়া এ ফলে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে চর্বি, আমিষ, লৌহ ও খনিজ পদার্থ।

৬. লটকন গাছের শুকনো গুঁড়ো পাতা ডায়রিয়া বেশ দ্রুত উপশম হয়। এর গাছের পাতা ও মূল খেলে পেটের পীড়া ও পুরান জ্বর নিরাময় হয়। এমনকি গনোরিয়া রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এ ফলের বীজ।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]