মেক্সিকো সীমান্তে সন্ধান মিলেছে পৃথিবীর এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় পাচার সুড়ঙ্গের। ৪ হাজার ৩০৯ ফুট দীর্ঘ এ সুড়ঙ্গে একটি লিফট, রেললাইন, পানি নিষ্কাশন ও বাতাস চলাচল ব্যবস্থা এবং হাই ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক তার রয়েছে। এ সুড়ঙ্গপথে মেক্সিকোর তিজুয়ানা শহরের একটি শিল্প এলাকার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ডিয়েগো এলাকার সংযোগ স্থাপিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গটি পাচারের কাজে ব্যবহৃত হলেও সেখানে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি এবং কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি। সুড়ঙ্গটি নির্মাণের জন্য কাদের সন্দেহ করা হচ্ছে তাও জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
গতবছরের আগস্টে সুরঙ্গটি আবিষ্কৃত হওয়ার পর মেক্সিকান আইন প্রয়োগকারী বাহিনী এর প্রবেশপথ খুঁজে পান এবং যুক্তরাষ্ট্র এর গতিপথ ও মোট দৈর্ঘ্য নির্ণয় করে। টানেলটির মোট দৈর্ঘ্য ৪৩০৯ ফুট। বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা টানেলটিও যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়াগুতে অবস্থিত। এটি আবিষ্কৃত হয়েছিল ২০১৪ সালে, যার দৈর্ঘ্য ২৯৬৬ ফুট।
তবে সীমান্তের ওই এলাকায় তৎপর রয়েছে মেক্সিকোর কুখ্যাত সিনালোয়া মাদকচক্র। যুক্তরাষ্ট্র সরকার সিনালোয়াকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাদক পাচারকারী গোষ্ঠীগুলোর একটি বলেই গণ্য করে। এ চক্রের প্রতিষ্ঠাতা ও দীর্ঘকালীন প্রধান হোয়াকিন ‘এল চাপো’ গুজমান যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও বর্ডার প্রটেকশন জানায়, ভূপৃষ্ঠ থেকে সুড়ঙ্গটির গড় গভীরতা ৭০ ফুট। ভেতরের দিকে সুড়ঙ্গপথটি সাড়ে পাঁচ ফুট উঁচু ও দুই ফুট চওড়া। বিশাল এই সুড়ঙ্গ তৈরিতে কতদিন লেগেছে তা জানা যায়নি। বিবিসি।