5296

04/20/2024 দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের কবল থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় রক্ষার দাবি

দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের কবল থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় রক্ষার দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা

১৩ জুলাই ২০২১ ২৩:২৩

দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের কবল থেকে রক্ষার দাবি জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান প্রটেকশন ফর লিগ্যাল হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ড. সুফি সাগর সামস। এ সময় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গত ২৮ বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব পূনঃনিরীক্ষা করে প্রতিবেদন প্রকাশেরও দাবি জানানো হয়।

প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ ও সদস্য এম এ কাসেমের নানা অনিয়মের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দায়েরের পর এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯৯২ সালে যাত্রা শুরু করা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও পরিচালনা পর্ষদে দু'একজন ব্যক্তির কারনে ডুবতে বসেছে প্রতিষ্ঠানটি। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসইউ) পরিচালিত হয় একটি ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে। এই ট্রাস্টি বোর্ড একটি মানবহিতৈষী, দানশীল, জনহিতকর, অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আজিম উদ্দিন আহমেদ ও এমএ কাসেম প্রতিষ্ঠানটিকে বেআইনীভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপদান করে শত শত কোটি টাকা বাণিজ্য করছেন এবং সেই টাকা উভয়ে যোগসাজেশ করে আত্মসাৎ করেছেন এবং এ ধারা অব্যাহত রেখেছেন।

ড. সাগর সামস বলেন, রাষ্ট্রের স্বার্থে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে এমন লাগামহীন দুর্নীতি ও বিশ্ববিদ্যালয়টিকে জঙ্গি তৈরির কারখানায় রূপায়িত করা দুই ট্রাস্ট্রি আজিম উদ্দিন ও এম এ কাসেমের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির হাত থেকে প্রতিষ্ঠান ও দেশকে বাঁচানোর দাবি জানান তিনি।

আজিম উদ্দিন ও এম এ কাসেমের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে সুফী সাগর সামস বলেন, "নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আশালয় হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে প্রায় ২০০ কোটি টাকা, ২০১৯ সালে বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয় করে ২১ কোটি টাকা, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর অনুমোদনের বাইরে দশটি সেকশন চালু করে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তিপূর্বক বিশাল অংকের টাকা বিভিন্নভাবে আত্মসাৎ করেন এই দুই ট্রাস্টি। এছাড়াও ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক সভাপতি মো. শাহজাহানসহ আজিম-কাসেম সিন্ডিকেট পরস্পর যোগসাজশ করে সাধারণ তহবিল থেকে বেআইনীভাবে ১১৪ কোটি টাকা, পরিবারের সদস্যসহ বিদেশ ভ্রমণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় কোটি টাকা, সিটিং অ্যালাউন্স বাবদ ৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা, গাড়ি চালক ও জ্বালানী বাবদ ৪৮ লাখ টাকা এবং ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে শিক্ষার্থীদের দেওয়া টিউশন ফির অর্থ থেকে ভাতা বাবদ প্রায় ৪ কোটি টাকা অপব্যয় ও আত্মসাত করেছেন আজিম উদ্দিন ও এমএ কাসেম সিন্ডিকেট। পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার তথ্য উপস্থাপন করে এম এ কাসেম ও আজিম উদ্দিনকে দায়ী করা হয়। দেশে ঘটে যাওয়া নানা জঙ্গি হামলার ঘটনায় নর্থ সাউথের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রদের জড়িত থাকার প্রমাণ তুলে ধরা হয়। এ সময় তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব তদন্ত করে দেখার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে তদন্ত চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড থেকে তাদের অব্যহতি প্রদান করে নতুন পরিচালনা পর্ষদ সাজানোর দাবি জানানো হয়।

মূলতঃ রাষ্ট্রীয় স্বার্থে স্বপ্রণোদিত হয়ে মানবাধিকারকর্মী সুফী সাগর শামস সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমের কাছে এসব তুলে ধরেন।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]