5377

04/26/2024 এবার পারবেন কী তামিম-সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা?

এবার পারবেন কী তামিম-সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা?

ক্রীড়া প্রতিবেদক

২০ জুলাই ২০২১ ২৩:৫৫

কথায় বলে ইতিহাসের নাকি পুনরাবৃত্তি ঘটে। শুধু কথার কথা নয়, কখনো কখনো ইতিহাস ফিরেও আসে। আজ ২০ জুলাই কী সত্যিই ইতিহাস ফিরে আসবে? নাকি নতুন কাহিনী লিখা হবে? তার উত্তর মিলবে আর ৩ ঘণ্টা পর। তবে এখনকার খবর হলো, ঠিক এক যুগ আগে বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বাংলাদেশের বিপাক্ষে ৩১২ রানের রেকর্ড স্কোর গড়েও পারেনি জিম্বাবুয়ে।

দিনটি ছিল ২০০৯ সালের ১৬ আগস্ট। ওয়ানডাউন চার্লস কভেন্ট্রির ১৫৬ বলে ১৬ বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কায় করা ১৯৪ রানের রেকর্ড ইনিংসের ওপর ভর করে ৩১২ রানের বিশাল স্কোর গড়েছিল জিম্বাবুয়ে।

কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ৩১২ রানের পিছু ধেয়ে ৪ উইকেটের অবিস্মরণীয় জয় পায় বাংলাদেশ। এখনকার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল একাই খেলেন ১৩৮ বলে ১৫৪ রানের ইনিংস। ৭ বাউন্ডারি, ৬ ছক্কায় সাজানো ওই হ্যারিকেন ইনিংসে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল জিম্বাবুইয়ান বোলিং।

সবচেয়ে বড় কথা, ৩০০ প্লাস রান তাড়া করে জেতা ম্যাচে তামিম একাই প্রায় অর্ধেক তুলে দিয়েছিলেন; কিন্তু আর কারো ব্যাট থেকে একটি পঞ্চাশও বেরিয়ে আসেনি সেদিন। দ্বিতীয় সর্বাধিক ৩৮ ( ২৭ বলে) রান করেছিলেন তামিমের ওপেনিং পার্টনার জুনায়েদ সিদ্দিকী। তৃতীয় সর্বাধিক ৩৫ রান আসে রকিবুল হাসানের ব্যাট থেকে।

তামিম ১১১.৫৯ স্ট্রাইকরেটে দলকে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে দিয়ে যখন সাজঘরে ফেরেন, টিম বাংলাদেশ তখন জয় থেকে মাত্র ৩৪ রান দুরে। তখনো ম্যাচের বল বাকি ছিল ৩৩টি। হাতে টাইগারদের উইকেট ছিল ৫টি।

ওই অবস্থায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১১ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২১ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দিলে বাংলাদেশ ১৩ বল আগেই পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। ঠিক প্রায় ১২ বছর পর, আজ হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়ে আবার প্রায় ৩০০ রানের (২৯৮) বড়সড় স্কোর গড়ে তামিম বাহিনীর সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।

এবার কী হবে? অধিনায়ক তামিম আবার কী জ্বলে উঠবেন ব্যাট হাতে? আগের দুই ম্যাচে শূন্য আর ২০ রানে সাজঘরে ফেরা তামিম কী দলের প্রয়োজনে আজ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন?

ইতিহাস জানাচ্ছে, এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একযুগ আগে বুলাওয়েতে ১৫৪ রানের ম্যাচ জেতানোর পাশাপাশি তামিমের আরও একটি বিগ হান্ড্রেড আছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেটা দেশের মাটিতে। ২০২০ সালের ৩ মার্চ সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩৬ বলে ২০ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ওই ইনিংসের ওপর ভর করে বাংলাদেশ ৩২২ রানের বড় স্কোর গড়ে পেয়েছিল ৪ রানের বড় জয়।

আজ কী অধিনায়ক তামিম ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবেন? নাকি তার এখনকার সঙ্গী লিটন দাস জিম্বাবুয়ের সাথে টানা ভাল খেলা অব্যাহত রাখবেন? নাকি আগের ম্যাচে মাত্র ৪ রানের জন্য শতরান করতে না পারা সাকিব এবার তিন অংকে পা রেখে দলকে পৌঁছে দেবেন জয়ের বন্দরে?

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আর নুরুল হাসান সোহানের কেউ কী শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে দলের জয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন? অপেক্ষায় সবাই।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]