পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। দুই ২৪ পরগনাসহ দক্ষিণের জেলাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ‘আম্ফানে’ মারা গেছেন ৭২ জন। এর মধ্যে শুধু কলকাতাতেই মারা গেছেন ১৫ জন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষয়ক্ষতি করোনাভাইরাসের মহামারি থেকেও মারাত্মক হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই ঝড়ের তাণ্ডব চলেছে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশ্যা রাজ্যে। ঝড়টির কেন্দ্রে পরিণত হওয়া পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরের রাস্তাঘাট ডুবে গেছে, পানির নিচে তলিয়ে গেছে অনেক ঘরবাড়ি। রাস্তায় গাছের নিচে চাপা পড়ে পানিতে ডুবে আছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কলকাতা বিমানবন্দরের কিছু অংশ পানিতে ডুবে গেছে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার বিভিন্ন জেলা আম্ফানের আঘাতে একেবারে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়েছে আম্ফান। এটা কল্পনাও করা যায় না। আম্ফান এমন তাণ্ডব চালাবে তা আবহাওয়াবিদ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা ধারণাও করতে পারেন নাই। দক্ষিণের জেলাগুলো কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে টাস্কফোর্সের বৈঠকে আম্ফান মোকাবিলায় ১০০০ কোটি টাকার ফান্ড তৈরির ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গে আসার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলবো একবার ভিজিট করে যান, দেখে যান কী ভয়াবহতা গিয়েছে।
আম্ফানে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে আড়াই লাখ রূপি করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা দিয়েছেন মমতা। আম্ফান যে তাণ্ডব চালিয়েছে তাতে এর ক্ষয়ক্ষতি বুঝতে ধ্বংসের চিত্র বুঝতে ১০ থেকে ১২ দিন লেগে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।