মুখরোচক খাবার হিসেবে কাজু বাদাম বিশ্বজুড়েই সমাদৃত। কাঁচা হোক বা ভাজা, দুইভাবেই খাওয়া যায় সুস্বাদু খাবারটি। তাছাড়া বিভিন্ন রান্নায় এর ব্যবহার রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। ফিরনি বা সেমাইয়ের মত মিষ্টিজাতীয় খাবারে এটি বহুল ব্যবহৃত।

পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার দিক থেকে কাজু বাদামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কাজু বাদামে এত পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়, যা প্রায় রান্না করা মাংশে পাওয়া প্রোটিনের সমান। এ ছাড়া এতে অনেক বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং শর্করার পরিমাণ কম থাকে। তাছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ভিটামিন যা বিভিন্নভাবে শরীরের উপকারে আসে। খাবারটি হাড়ের জন্য অনেক উপকারী। পাশাপাশি ওজন কমাতে, হার্টকে ভালো রাখতে এবং ডায়বেটিস রোগের উপকারেও সহায়তা করে কাজু বাদাম।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত যদি কাজু বাদাম খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে নানা পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি দূর হয়, সেই সঙ্গে আরও কিছু উপকার পাওয়া যায়।

১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ

প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়া উপাদানটি হৃদরোগ, চোখের বিভিন্ন রোগ ও স্মৃতিশক্তিজনিত যে কোনো সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রভাবে ত্বকের সৌন্দর্য বজায় থাকে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।

২. ওজন কমাতে সাহায্য করে

গবেষণায় দেখা গেছে যে, কাজু বাদামে যে পরিমাণ ক্যালোরি থাকে, তার ৮৪ শতাংশই হজম করতে এবং শুষে নিতে পারে মানব দেহ। এ ছাড়া এটি প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় ক্ষুধা কমাতে এবং পেটভরা রাখতে সহায়তা করে বলে ওজন কমার সম্ভাবনা থাকে অনেক।

৩. হার্টের জন্য উপকারী

কাজু বাদামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে উপকারী হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কাজু বাদাম নিয়মিত খেলে রক্তচাপ ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করে।

৪. ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে- প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবারটি নিয়মিত খেলে রক্তে সুগারের মাত্র নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে শরীরর কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

৫. হাড়ের জন্য উপকারী

কাজু বাদামে ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ থাকার কারণে এটি হাড়ের জন্য অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয় কপারের অভাব পূরণ করে এটি। আর কপারের অভাবে বিভিন্ন হাড়ের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই কাজু বাদাম হাড়ের জন্য উপকারী হিসেবে কাজ করে।