দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) অনলাইন পরীক্ষায় লুঙ্গি পড়ে অংশগ্রহণের দায়ে তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করার অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ফুড প্রসেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০তম ব্যাচের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন এই বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও একই পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে দুজনকে বহিষ্কার এবং একজনের নির্দিষ্ট সময়ের আগে খাতা জমা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অসদুপায় অবলম্বন না করলেও তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে বিভাগ সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন সরকার জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে মিটিং করে সমাধান করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিন সাজ্জাদ হোসেন সরকার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি। নিজের ছেলেকে ফেলে সতীনের ছেলেকে কোলে নেওয়া, যাতে সতীনের ছেলে হাঁটতে না শেখে। ভুলের উর্ধ্বে কেউ নয়, আমরা শিক্ষক, আমাদেরও ভুল হতে পারে। তবে, ছাত্ররা যদি আমাদের ভুল ধরে, তাহলে বেঁচে থাকাই কঠিন। তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে, আমাদের হাতে সব, আমরা ইচ্ছে করলে সব ঠিক করে দিতে পারি। এখন একটা ঘটনা ঘটে গেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা একটা মিটিং ডাকবো, সেখানে সমাধান করা হবে।’
জানা যায়, সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ফুড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রসায়ন পরীক্ষা ছিল। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া ওই অনলাইন পরীক্ষায় লুঙ্গি পরিহিত দুই শিক্ষার্থীসহ মোট ৫ জনকে এক্সপেল করা হয়।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ইম্প্রুভ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ১৭ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কার শিক্ষার্থী বলেন, ‘পরীক্ষা শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে আমাকে ক্যামেরা এঙ্গেল ঠিক করতে বলা হয়। তখন ক্যামেরা উপর-নিচ করার সময় আমার লুঙ্গি স্যারের দৃষ্টি গোচর হয়। তখন স্যার লুঙ্গি নিয়ে কথা তোলেন। তবে এছাড়াও আমাকে স্যার কয়েকবার ডাকলে আমি না শোনায় স্যার আমাকে জুম মিটিং থেকে বের করে দেন এবং এক্সপেল করেন।’