রাজধানীর পল্লবীতে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলা থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হাত-পা বাঁধা ত্রিশোর্ধ ওই নারীর লাশের পাশে কনডম ও যৌন উত্তেজক সামগ্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।

আজ শনিবার মিরপুর ১২ নম্বরের ই ব্লকের ৩নং রোডের ৪ নম্বর নির্মাণাধীন ভবনের ৬তলার ছাদ থেকে হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ভবনটি একটি ডেভলপার কোম্পানি নির্মাণ করছিল। ভবন মালিকের নাম ফরহাদ। ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাড়ির মালিক থাকেন। অন্যান্য ফ্লোরগুলোর নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবন মালিক তুহিনসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল ১১টায় বাড়ির এক সদস্য ছয়তলায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশের পাশে একটি ভ্যানেটি ব্যাগ, কয়েকটি আবাসিক হোটেলের ভিজিটিং কার্ড ও যৌন উত্তেজক সামগ্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। পুলিশের ধারণা, ধর্ষণের পর ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মাবুদ বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর সিআইডি ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করেছেন। থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি সদস্যরাও তদন্ত শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শনিবার দুপর ১২টার দিকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় রশি দিয়ে তার হাত, পা বাঁধা ছিল। এ ছাড়া মুখে ওড়না ঢুকানো ছিলো। ওই ভবনটি পাঁচ তলা পর্যন্ত সম্পন্ন। উপরের এক তলায় নির্মাণ কাজ চলছে। চারতলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত ভাড়া দেওয়া। ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার রাতের কোনো এক সময়ে এই ভবনেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে তাকে।’

ডিবির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন সুমা বলেন, প্রাথমিকভাবে ওই নারীকে যৌনকর্মী মনে হচ্ছে। লাশের পরিচয় পাওয়া গেলেই এর রহস্য উদ্ঘাটন সহজ হয়ে যাবে। তাই সবার আগে আমরা ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা করছি।