ঔষধী মসলা লবঙ্গ এবং এলাচ প্রাচীনকাল থেকেই রান্নায় স্বাদ, ঘ্রাণ আনার কাজে প্রচুর ব্যবহৃত। সময়ের সাথে গবেষণা করে পাওয়া যায় এদের আরও অনেক গুণাগুণের সন্ধান। লবঙ্গকে লং এবং এলাচকে এলাচিও বলা হয়ে থাকে।
লং মানুষের শরীরে আলসার নিরাময়ে, হাড়ের ডেনসিটি বাড়াতে, সর্দিকাশি প্রতিরোধ করতে, ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে, দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা রোধে, মস্তিষ্কের কার্যক্রম সুষ্ঠু রাখাসহ নানাবিধ উপায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অন্যদিকে এলাচ ক্যান্সার প্রতিরোধে, দাতের মাড়ির সমস্যা দূরীকরণে, শ্বাসকষ্ট প্রতিকারে, ক্ষুধামন্দা কমাতে, হজমে সহায়তা করতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণসহ শারীরিক অসুস্থতা থেকে রেহাই দিতে সাহায্য করে। তবে এদের অতিরিক্ত ব্যবহারে হতে পারে মারাত্নক কিছু অপকারিতা।
আসুন জেনে জেনে নিই মাত্রাতিরিক্ত লবঙ্গ ব্যবহারের ক্ষতিগুলো-
১. হিমোফিলিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে লবঙ্গ ব্যবহার হানিকারক। কারণ এর বেশি ব্যবহার রক্ত পাতলা করে দেয়।
২. সুগার সল্পতায় ভোগা ব্যক্তিদের অতিরিক্ত লং সেবন হাইপোগ্লাইসিমিয়া অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে।
৩. মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই লং মুখে রাখে বা চিবিয়ে খায়। এটি রোজ করলে বিষক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, বমি বমি ভাব কাজ করে।
৪. শরীরে বিভিন্ন এলার্জিক রিয়েকশন দেখা যায়। লবঙ্গ সেবন অনেক সময় হঠাৎ এলার্জির কারণ হতে পারে।
এলাচ মানবদেহের জন্য যে ক্ষতি সাধন করে-
১. চা বা রান্নার সাথে অতিরিক্ত এলাচ সেবন হঠাৎ গর্ভপাতের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
২. যে সকল রোগী নির্দিষ্ট রোগের নিরাময়ের জন্য নিয়মিত মেডিসিন গ্রহণ করেন তাদের জন্য রোজ এলাচ ব্যবহার ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। কারণ, অনেক সময় এলাচ ও মেডিসিন পরস্পর বিরুপ দিকে জৈবিকক্রিয়ায় লিপ্ত হয়। এর ফলে ঔষধের কার্যক্ষমতা কমে যায় পাশাপাশি বড় ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।
৩. কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির এলাচ পরিহার করা উচিত। কারণ এলাচ শরীরে পাথর সৃষ্টি করে জটিলতা আরও বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।