ছোট থেকে বড় সবারই চুল পড়ার সমস্যা আছে। এমনকি দিনে ৮০-১০০ টির মত চুল পড়া স্বাভাবিক। তবে হঠাৎ যদি এ চুল পড়ার সংখ্যা বেড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে চিন্তার বিষয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ওষুধ সেবনে বা রোগের কারনও চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। তবে বেশিরভাগ সময়েই আপনার রোজকার কিছু অভ্যাসের কারনে চুলের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চলুন জেনে নিই সমস্যাগুলো কী -
১.অতিরিক্ত ড্রাই শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারের ব্যবহার চুলের মারাত্মক ক্ষতি করে। বেশি ড্রাই শ্যাম্পুর ব্যবহার স্ক্যাল্পের স্বাভাবিক তৈলাক্তভাব নষ্ট করে চুলকে রুক্ষ ও ভঙ্গুর করে। আর কন্ডিশনার চুলকে মসৃণ করতে সাহায্য করে যা শুধু চুলের নিম্নভাগে ব্যবহৃত হয়। অনেকেই পুরো চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করে অস্বাভাবিক হেয়ার ফলের শিকার হন।
২. অতিরিক্ত হেয়ার ব্রাশিং এর ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তখন এমনিতেই অনেক চুল ছিঁড়ে চলে আসে। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমানোর আগে একবার চুল চিরুনি করাই যথেষ্ট।
৩. অস্বাস্থ্যকর ডায়েট হেয়ার গ্রোথ নষ্ট করে। অনেক সময় পুষ্টিহীনতার ফলেও চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। দুধ, ডিম, ওটস, কলিজা, মুরগী, মাছ, শাক ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১২ থাকে যা চুলের জন্য খুব উপকারী।
৪. অনুষ্ঠানে, অফিসে যেতে কিংবা বিশেষ দিনগুলোতে আমরা চুল স্ট্রেইট, কার্ল বা ব্লো ড্রাই করতে হিট ব্যবহার করে থাকি। চুলে ঘন ঘন হিট ব্যবহার করলে হেয়ার ফল বাড়াই স্বাভাবিক। তাই হিট দেয়ার পূর্বে হিট প্রটেক্ট্যান্ট ব্যবহার করতে হবে এবং অবশ্যই চুলে হিটের ব্যবহার কমাতে হবে।
৫. নিয়মিত চুল ধোয়া বা শ্যাম্পু ব্যবহারেও চুলের ক্ষতি হয়। এই অভ্যাসকে অনেকে ভাল মনে করলেও বাস্তবতা ভিন্ন। নিয়মিত চুল ধোয়ার ফলে চুলের উজ্জ্বলতা কমে যায় ও চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে। নিয়মিত বাইরে চলাফেরা না থাকলে সপ্তাহে ৩বার চুল পরিষ্কার করাই যথেষ্ট।
৬. ভেজা চুলের অযত্নের কারনে সবচেয়ে বেশি হেয়ার ফল দেখা দেয়। ভেজা অবস্থায় চুল ঝাড়া, বারবার তোয়ালে দিয়ে ঘষাঘষি করা চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট করে। তাছাড়া ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া খুবই নরম থাকে। তাই ভেজা চুলে চিরুনি করাসহ যেকোনো রকম ঘষামাজা না করাই ভালো। গোসলের পরে নন ট্যাকি অয়েল বা সিরামের ব্যবহার চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়।