7214

03/31/2025 বিআরটিএ'র সহকারি পরিচালক আলী আহসান মিলনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বিআরটিএ'র সহকারি পরিচালক আলী আহসান মিলনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আদালত প্রতিবেদক

২৩ অক্টোবর ২০২১ ১৬:৪৬

জালিয়াতি মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরটিএ'র সহকারি পরিচালক আলী আহসান মিলনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রাজধানীর জুরাইন এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী খালেদ ইবনে এরশাদের জমি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জোরপূর্বক দখলে নেন আলী আহসান মিলন। এ ঘটনায় খালেদ ইবনে এরশাদ গত ১৮ অক্টেবর-২০২১ তারিখে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ঢাকার অধীনে একটি সিআর মামলা (নং- ০৭/২১) দায়ের করলে উক্ত মামলায় আদালত এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

জানা গেছে, খালেদ ইবনে এরশাদ দীর্ঘদিন দেশের বাহিরে থাকায় আলী আহসান মিলন সুযোগ পেয়ে তার ৪৫৬৪ নং খতিয়ানের ১৫০৫২ নং দাগের জমি দখলে নিয়ে জাল দলিল তৈরি করে অনেক বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছেন।

মামলার বাদি খালেদ ইবনে এরাশাদ বলেন, "আমি ছোট বেলা থেকেই দেশের বাইরে ছিলাম। ২০২০ সালে দেশে এসে আমার জায়গা জমি বুঝে নেয়ার চেষ্টা করি। এ সময় জানতে পারি জুরাইন কমিশনার রোডের চেয়ারম্যান বাড়ী মোড়ের আমার জমিটির দখলে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরটিএ'র সহকারি পরিচালক আলী আহসান মিলন। তার কাছে জমি দখলের কারণ জানতে চাইলে তিনি ২০০৫ সালে এই জমি কিনেছেন বলে দাবি করেন!"

খালেদ আরো বলেন, "২০০৪ সালে আমার মা লন্ডনে আমার কাছে ছিলেন এবং সেখানেই তিনি মারা যান। আলী আহসান মিলন যেদিন জমি রেজিস্ট্রেশনের তারিখ দেখিয়েছেন, সেই দিন আমার মা লন্ডনের এক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি ছিলেন। ওই দলিলে আমার মায়ের স্বাক্ষর কিভাবে এলো? এই দলিলটি সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও জাল জালিয়াতিমূলক। একারণে আমি আদালতের নিকট সুবিচার প্রার্থনা করেছি।"

উল্লেখ্য, সাবেক ছাত্রদল নেতা আলী আহসান মিলনের শ্বশুর আবদুস সালাম খান ছিলেন জুরাইনের সাবেক ৮৯ নং ওয়ার্ড (বর্তমান ৫৩ নং) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।

এ বিষয়ে শ্যামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মফিজুল আলম বলেন, ওয়ারেন্টের কপি হাতে পেলে আদালতের নির্দেশ তামিল করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে আলী আহসান মিলনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‌"২০০৫ সালে একক মালিক হিসেবে খালেদের মায়ের কাছ থেকে আমি জমিটি ক্রয় করি। এরপর দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত ভোগদখল করে আসছি। এতোদিন পর খালেদ সাহেব কিসের ভিত্তিতে এই জমি তার বলে দাবী করেন? কী প্রমাণ আছে তার কাছে? মূলত এটা ষড়যন্ত্র এবং আমাকে এবং আমার পরিবারকে হয়রানি করতেই খালেদ গং চক্রান্ত করছেন বলে দাবী করেন তিনি।"

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]