রসুনের গুনের কথা অনেকেরই জানা। প্রতিদিন খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে ঠাণ্ডা লাগার হাত থেকে রক্ষা করবে। এভাবে টানা দুই সপ্তাহ সকালে রসুন খেলে ঠাণ্ডা লাগার প্রবণতা অনেকটা কমে।
আর আমে থাকা ভিটামিন ডি এবং প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি শরীরে শক্তি তৈরি করে। এ ছাড়া আমে রয়েছে আয়রন, আঁশ, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি ও খনিজ উপাদান যা শরীর সুস্থ রাখে।
ক্যারোটিন চোখ সুস্থ রাখে, সর্দি-কাশি দূর করে। কাঁচাআমে ৯০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে। তাই ঠাণ্ডা-কাশির প্রকোপ কমাতে খেতে পারেন আম-রসুনের আচার।
যেভাবে তৈরি করবেন মুখরোচক আম-রসুনের আচার-
উপকরণ
খোসা ছাড়া কাঁচা আমের টুকরা দুই কাপ, সরিষার তেল এক কাপ, রসুন ছেঁচা এক কাপ, মেথি এক টেবিল-চামচ, মৌরি এক টেবিল চামচ, জিরা এক টেবিল চামচ, কালোজিরা দুই চা চামচ। সিরকা আধাকাপ, হলুদ গুঁড়া দুই চা চামচ, শুকনা মরিচ ১০-১২টি, চিনি দুই টেবিল চামচ লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি
আমের টুকরোগুলোতে লবণ মাখিয়ে একরাত রেখে দিতে হবে। পরের দিন ধুয়ে কয়েক ঘণ্টা রোদে দিতে হবে। রেসিপির সব মসলা মিহি করে বেটে নিতে হবে। এর পর চুলায় সসপ্যানে তেল দিয়ে বসাতে হবে। তেল গরম হলে রসুন দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়িয়ে, তার পর বাটা মসলা দিয়ে নাড়তে হবে।
তার পর আম দিয়ে নাড়িয়ে নিতে হবে। কিছুক্ষণ রান্না করার পর আম নরম হলে, চিনি দিয়ে নাড়িয়ে নামাতে হবে। এর পর আচার ঠাণ্ডা হলে বোতলে ভরে, বোতলের মুখ পর্যন্ত তেল দিয়ে ঢাকতে হবে। এর পর কয়েক দিন রোদে দিতে হবে।