8220

03/29/2024 শিমুর হত্যাকারী স্বামী নোবেল, সহযোগি ফরহাদ

শিমুর হত্যাকারী স্বামী নোবেল, সহযোগি ফরহাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ জানুয়ারী ২০২২ ০৫:০৭

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু’র হত্যাকারী স্বামী নোবেল। আর হত্যাকান্ডে সহযোগিতা করেছে নোবেলের বন্ধ ফরহাদ। সংবাদ সম্মেলনে একথা জানালেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার। মঙ্গলবার ১৮ জানুয়ারি নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা এসপি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিমুকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন নোবেল।

পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার জানান, স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ থানার হযরতপুর ইউপির আলীপুর ব্রিজ থেকে ৩০০ গজ উত্তরে বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ সুরতহাল রিপোর্টে পরিচয় শনাক্তের জন্য আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। আঙ্গুলের ছাপ দিয়েই শনাক্ত করা হয় মৃতদেহের নাম পরিচয়।

কেরানীগঞ্জ থেকে চিত্র নায়িকা শিমুর বস্তাবন্তি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ

ঘটনার পর আমরা শিমুর স্বামী নোবেল ও বন্ধু ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিমুকে হত্যার কথা স্বীকার করে স্বামী নোবেল। হত্যার কারণ সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহের কারণে শিমুকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় নোবেল। হত্যার পর লাশ লুকিয়ে ফেলতে নোবেলের বন্ধু ফরহাদ সহযোগিতা করেন বলেও জানান ঢাকা জেলা এসপি।

এসপি মারুফ হোসেন সরদার জানান, তদন্তে প্রমান হয় মৃতদেহটি চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর । তার বয়স ৪১ এবং তিনি সপরিবারে ঢাকার গ্রিন রোড এলাকায় থাকতেন। শিমু হত্যাকান্ডের সময় সম্পর্কে তিনি বলেন, দাম্পত্য কলহের জেরে রোববার আনুমানিক সকাল ৭-৮ টার মধ্যে খুন হন শিমুকে। শিমুর মৃতদেহ গুমের চেষ্টায় যে গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি জব্দ করে থানায় নেয়া হয়েছে, তবে কীভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা পুরোপুরি এখনই বলা যাচ্ছে না।

এসএন/জুআসা/২০২২

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]