চালের দাম শিগগিরই স্থিতিশীল হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। বুধবার ১৯ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি। কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারের কাছে খাদ্যের মজুত আছে ২০ লাখ টন, যা যে কোন সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ।
চালের দাম বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি দেশে চালের দাম কিছুটা অস্থিতিশীল ও ঊর্ধ্বমুখী। আন্তর্জাতিক বাজারেও খাদ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে গমের দাম ২৩০-২৮০ ডলারের মধ্যে ছিল, তা বেড়ে এখন ৪৫০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে গম আমদানি হয়েছিল ৪৮ লাখ টন, আর এ অর্থবছরে জানুয়ারি পর্যন্ত আমদানি হয়েছে মাত্র ১৬ লাখ টন। চালের দাম বাড়ার কারণে গম আমদানি কম হচ্ছে। ফলে আটা,ময়দার দাম চালের চেয়ে বেশি, অথচ সবসময়ই আটার দাম চালের চেয়ে কম থাকে। তবে এই মুহুর্তে দেশে খাদ্যের কোন সংকট নেই বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলা পর্যায়ে সরকারের খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি বা ওএমএস শুরু হবে বলেও জানান ডঃ আব্দুর রাজ্জাক। সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে, এপ্রিল মাসেই নতুন চাল বাজারে আসার কথা জানান কৃষিমন্ত্রী। এর ফলে চালের দাম শিগগিরই স্থিতিশীল এবং স্বাভাবিক হবে বলেও আশা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ওএমএস যাতে সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, সেজন্য জেলা প্রশাসকদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে টিম গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া, অবৈধ মজুতদার চিহ্নিত করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও জরিমানা করার জন্যও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এর আগে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী ডঃ আব্দুর রাজ্জাক। এসময় উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম,খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
এসএন/জুআসা/২০২২