চলমান সহিংসতা বন্ধে কারফিউ জারির পাশাপাশি দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে শ্রীলংকায়। বিপর্যস্ত অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকশের পদত্যাগ করলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে দেশটিতে। রাজপাকশে সমর্থক এবং বিরোধীদের সহিংসতায় অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয় শ্রীলংকায়।
পরিস্থিতি শান্ত করতে সদ্য পদত্যাগী রাজাপাকশের ভাই বর্তমান প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকশে সারাদেশে কারফিউ জারি করেন। ১২ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ করেন তিনি। কারফিউ চলাকালে সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়েছে অনেক ক্ষমতা। রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেন তিনি।
বিবিসি জানায়, শ্রীলংকার রাজধানী কলোম্বোতে মোতায়েন করা হয়েছে দশ হাজারের বেশি সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী। তবে রাস্তায় সেনাবাহিনীর অবস্থান সত্ত্বেও ১০ মে মঙ্গলবার, বিক্ষোভকারীদের হামলার মুখে পড়েন শীর্ষস্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা।
কলম্বো’র প্রধান হাসপাতাল জানিয়েছে, সোমবারের পর থেকে আহত হয়েছে দুইশো'র বেশি মানুষ। বেশিরভাগ বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন সরকারপন্থী বা পুলিশের হামলায়।
শ্রীলংকার আইনজীবীরা বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা প্রধানমন্ত্রীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা করছেন।
এদিকে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে বিক্ষোভকারীরা শ্রীলংকার উত্তর পূর্বে ত্রিঙ্কোমালির অত্যন্ত সুরক্ষিত নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটির সামনে জড়ো হয়েছে, কারণ এরকম একটা খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে মাহিন্দা রাজাপাকশা তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে সেখানে বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারীদের জড়ো হতে দেখা গেছে সেখানে।
এসএন/জুআসা/২০২২