বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস
মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য নিয়ে অবহেলা নয়
প্রকাশিত:
৭ এপ্রিল ২০২৫ ১০:১৩
আপডেট:
৮ এপ্রিল ২০২৫ ০৪:১৮

আজ ৭ এপ্রিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের এক বিশেষ সংস্থা হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে ১৯৫০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে খুব গুরুত্ব সহকারে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ পালিত হয়ে আসছে।
২০২৫ সালে দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে—‘Healthy beginnings, hopeful futures’, যার অর্থ ‘স্বাস্থ্যকর সূচনা, আশাব্যঞ্জক ভবিষ্যৎ’। অর্থাৎ, এ বছরের ভাবনায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্য প্রাধান্য পেয়েছে। এ বছরের থিমটির গুরুত্ব নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে—‘মা ও শিশুর স্বাস্থ্য হলো সুস্থ পরিবার ও সমাজের ভিত্তি, যা আমাদের সবার জন্য আশাব্যঞ্জক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে’। ২০২৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার’।
আজ সারা বিশ্বে দিবসটি উদযাপনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের ওপর এক বছরব্যাপী বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা শুরু করবে। সংস্থাটি সরকার এবং স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রতিরোধযোগ্য মাতৃ ও নবজাতকের মৃত্যু বন্ধ করার প্রচেষ্টা জোরদার করা এবং মহিলাদের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানাবে। এ সময়ের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তার অংশীদারি প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যসম্মত গর্ভধারণ ও প্রসব এবং প্রসব পরবর্তী স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য দরকারি তথ্যও নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদান করবে।
প্রতি বছরের মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ বছরের প্রতিপাদ্যটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিছু পরিসংখ্যান দেখলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে এখনো প্রতি বছর প্রায় তিন লাখ নারী গর্ভধারণ ও প্রসবজনিত জটিলতায় প্রাণ হারান। প্রায় ২৩ লাখ নবজাতক জন্মের প্রথম মাসেই মারা যায় এবং ২০ লাখ শিশু মৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে। সংস্থাটির মতে, এসব মৃত্যুর প্রায় সবগুলোই প্রতিরোধযোগ্য, অর্থাৎ, যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা, দক্ষ ধাত্রী, পরিপূর্ণ পুষ্টি এবং নিরাপদ প্রসবের ব্যবস্থা থাকলে প্রতি ৭ সেকেন্ডে প্রায় ১ জন মা অথবা শিশুর এ প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব।
প্রশ্ন হলো, কোথায় এত ঘটছে মাতৃমৃত্যু, নবজাতক মৃত্যু ও স্টিলবার্থ বা মৃত শিশুর জন্ম? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বব্যাপী যে প্রায় তিন লাখ নারী গর্ভধারণ ও প্রসবজনিত জটিলতায় প্রাণ হারান তার প্রায় ৮৭ শতাংশ ঘটেছে সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ায়। আর এর প্রায় ৭০ শতাংশ হয়েছে শুধুমাত্র সাব-সাহারান আফ্রিকায় (আফ্রিকা মহাদেশের এলাকা এবং অঞ্চল যা সাহারার দক্ষিণে অবস্থিত)। বাকি প্রায় ১৭ শতাংশ হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায়।
এ পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে, দারিদ্র্যতার এবং আর্থিক সক্ষমতার সঙ্গে মাতৃমৃত্যুর সংযোগ বেশ স্পষ্ট। ২০২০ সালে নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় মাতৃমৃত্যুর হার ছিল প্রতি এক লাখে ৪৩০ জন, সেখানে উন্নত এবং উচ্চ আয়ের দেশসমূহে দেশগুলোয় এর হার ছিল মাত্র ১৩ জন। গরিব ও ধনী সব দেশ মিলিয়ে ২০২০ সালে মাতৃমৃত্যুর গড় হার ছিল প্রতি লাখে ২২৩ জন। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (Sustainable Development Goals) লক্ষ্য হলো, ২০৩০ সালের মধ্যে এ হার কমিয়ে ৭০-এর নিচে নামিয়ে আনা।
আশার খবর হলো, ২০০০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে, পূর্ব ইউরোপ এবং দক্ষিণ এশিয়া মাতৃমৃত্যুর হার অনেক কমে এসেছে। ২০০০ সালে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোয় মাতৃমৃত্যুর হার ছিল প্রতি লাখে ৩৮ জন, যা ২০২০ সালে এসে দাঁড়ায় ১১ জনে। আর দক্ষিণ এশিয়ায় ২০০০ সালে মাতৃমৃত্যুর হার ছিল প্রতি লাখে ৪০৮ জন, যা ২০২০ সালে কমে এসে দাঁড়ায় ১৩৪ জনে। সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোও ২০০০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ৩৩ শতাংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
সামগ্রিকভাবে, স্বল্পোন্নত দেশগুলোয় মাতৃমৃত্যুর হার গড়ে ৫০ শতাংশেরও কম হয়েছে। তবে, ভূমিবেষ্টিত এবং ছোট দ্বীপ উন্নয়নশীল দেশগুলোয় মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। ২০০০ থেকে ২০২০ সাল, এ সময়ে ভূমিবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশগুলোয় মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে ৫০ শতাংশ (৭২৯ থেকে ৩৬৮ পর্যন্ত), অপরদিকে ছোট দ্বীপ উন্নয়নশীল দেশগুলিতে মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে ১৯ শতাংশ (২৫৪ থেকে ২০৬ পর্যন্ত)।
এটি জানতে ইচ্ছা করা স্বাভাবিক যে, কী কারণে এত মাতৃমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে? গবেষণা বলছে, মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ হলো গর্ভধারণ থেকে প্রসবকালীন বিভিন্ন জটিলতা। মোট পাঁচটি কারণে গর্ভকালীন এবং প্রসবকালীন প্রায় ৭৫ শতাংশ মাতৃমৃত্যুর ঘটনা ঘটে—
১. সন্তান জন্মের পর অতিরিক্ত রক্তপাত (২৭ শতাংশ),
২. সন্তান জন্মের পর মায়ের সংক্রমণ,
৩. গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ এবং খিঁচুনি (প্রি-এক্লাম্পসিয়া এবং এক্লাম্পসিয়া) ( ১৬শতাংশ),
৪. সন্তান প্রসবের সময় বিভিন্ন জটিলতা এবং
৫. অনিরাপদ গর্ভপাত। কারণগুলো দেখলে বোঝা যায় যে, এর প্রায় প্রতিটি প্রতিরোধ বা নিরাময়যোগ্য। প্লাসেন্টা বের হওয়ার পর মাংসপেশিতে ১০ ইউনিট অক্সিটোসিন ইনজেকশন বা ইনফিউসনের সাথে ১০-৪০ ইউনিট অক্সিটোসিন সন্তান জন্মের পর অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে মাতৃমৃত্যু রুখে দিতে সক্ষম।
সন্তান জন্মের পর ইনফেকশন বা সংক্রমণের কারণে মাতৃমৃত্যু প্রতিরোধ করতে পারে দুটি ব্যবস্থা। একটি হলো সন্তান জন্মদানের সময় উন্নতমানের হাইজিন নিশ্চিত করা এবং আরেকটি হলো মায়ের শরীরে কোন ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। প্রি-এক্লাম্পসিয়া এবং এক্লাম্পসিয়াজনিত মাতৃমৃত্যু কমাতে ম্যাগনেসিয়াম সালফেটের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এবার নবজাতক মৃত্যুর দিকে নজর দেওয়া যাক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, শুধুমাত্র ২০২২ সালে সারা বিশ্বে এক মাসের কম বয়সী প্রায় ২৩ লাখ নবজাতক মৃত্যুবরণ করে। অর্থাৎ সে সময় বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬৫০০ জন নবজাতক মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৭৫ ভাগ নবজাতকের মৃত্যু ঘটছে জন্মের এক সপ্তাহের মধ্যে এবং এক দিনের মধ্যে মারা গেছে প্রায় দশ লাখ শিশু।
ভাবা যায়! মাতৃমৃত্যুর মতোই নবজাতক মৃত্যুর বেশিরভাগ ঘটছে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোয়। এর পরে আছে দক্ষিণ এশিয়া। সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোয় নবজাতক মৃত্যুর হার প্রতি হাজার জীবিত শিশুর মধ্যে ২৭ জন এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় এ সংখ্যা হাজারে ২১ জন।
নবজাতক মৃত্যুর প্রধান কারণগুলো হলো—অপরিপক্ব শিশুর জন্ম, প্রসবকালীন জটিলতা যেমন প্রসবকালীন আঘাত ও শ্বাসরোধ, জীবাণুর সংক্রমণ এবং জন্মগত শারীরিক ত্রুটি। মাতৃমৃত্যুর মতো নবজাতক মৃত্যুর কারণসমূহও প্রতিরোধ বা নিরাময়যোগ্য। প্রসবপূর্ব যত্ন, প্রসবোত্তর যত্ন, দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী, উন্নত হাইজিন এবং জরুরি প্রসূতি ও নবজাতকের যত্ন নবজাতক মৃত্যুর সংখ্যা অনেকাংশে কমিয়া আনে। গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভবতী মায়েদের গর্ভধারণের শুরু থেকে দক্ষ ধাত্রিসেবা বা মিডওয়াইফের তত্ত্বাবধান শিশুর অকাল জন্ম ২৪ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে।
মাতৃমৃত্যু, নবজাতক ও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ ভালো। বাংলাদেশে দুই দশকে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। সেবাদান কেন্দ্রে প্রসব, সফল টিকাদান কর্মসূচি, পরিবার পরিকল্পনা এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ব্যাপক সেবা প্রদান ভালো ফল এনে দিয়েছে।
অনেক চ্যালেঞ্জ এখনো বিদ্যমান, যেমন- প্রত্যন্ত অঞ্চলে গর্ভকালীন চেকআপের অপ্রতুলতা, নিরাপদ প্রসবের জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত ধাত্রী বা নার্স না থাকা, অপুষ্টি, বাল্যবিবাহ ও কম বয়সে গর্ভধারণ আশানুরূপভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা, নবজাতকের জন্মের পর প্রথম ২৮ দিনকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্যসেবার দুর্বল কাঠামো ইত্যাদি। তবে, দেশে এক সময়ে শিশু মৃত্যুর হার কমে গেলেও দিনে দিনে তা আবার বেড়ে চলেছে।
২০১৭ সালে দেশে এক মাস, এক বছর এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার ছিল হাজারে যথাক্রমে ১৫, ২১ এবং ২৮ জন, যা ২০২৩ সালে এসে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২০, ২৭ ও ৩৩ জনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসম্মত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন সেবা নিশ্চিত না হওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন, ওষুধ প্রতিরোধী নানা জীবাণুর সংক্রমণ এ ঊর্ধ্বগতির অন্যতম কারণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্যটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো শিশুর সুস্থ বিকাশ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারদের উদ্বুদ্ধ করা। গবেষণা বলছে, শিশুর প্রাথমিক বিকাশের সময় (০–৫ বছর) তার মস্তিষ্কের ৯০ শতাংশ গঠন সম্পন্ন হয়। তাই, এ সময় শিশুর সঠিক পুষ্টি, স্নেহ, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবার অভাব ভবিষ্যতে তার মানসিক ও শারীরিক বিকাশে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু অপুষ্টি বা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে জন্ম নেয়, তাদের মধ্যে শিক্ষাজীবনে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। তারা পরবর্তীতে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার দিকেও দুর্বল হয়। অতএব, সুস্থ প্রারম্ভিক জীবন কেবল একটি শিশুর ব্যক্তিগত ভবিষ্যৎ নয়, পুরো সমাজ ও রাষ্ট্রের অগ্রগতির জন্যও অপরিহার্য।
এটি অনস্বীকার্য যে, মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের সাথে একটি সমাজ ও রাষ্ট্রের অগ্রগতি সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য অনুযায়ী, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য উন্নয়নে এখনই বাস্তবসম্মত ও টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য জনস্বাস্থ্যবিদদের মতে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি তা হলো—
১. প্রত্যেক গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন অন্তত চারবার চেকআপ নিশ্চিত করতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করা,
২. অপ্রশিক্ষিত ধাত্রীর মাধ্যমে বাড়িতে প্রসবের প্রবণতা কমাতে হলে দেশের সব এলাকায় প্রশিক্ষিত নার্স/মিডওয়াইফ নিয়োগ দেওয়া,
৩. গর্ভবতী মা ও শিশুদের জন্য আয়রন-ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম ও প্রয়োজনীয় ভিটামিন সরবরাহ নিশ্চিত করা,
৪. স্বাস্থ্যসম্মত সমাজ গঠনের জন্য কিশোরীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করা,
৫. গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য মোবাইল স্বাস্থ্যসেবা (mHealth), টেলিমেডিসিন, অনলাইন পরামর্শ—এসব প্রযুক্তি সেবাকে আরও সহজলভ্য করা,
৬. অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স নিয়ন্ত্রণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার ও অতিব্যবহার বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং
৭. অপ্রয়োজনে সিজারিয়ান সেকশন বা সিজারিয়ান ডেলিভারি বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া এবং স্বাভাবিক ডেলিভারির জন্য সব সুবিধা নিশ্চিত করা।
সুস্থ পরিবার গড়ে তোলে সুস্থ সমাজ। আর সুস্থ সমাজ গড়ে তোলে মানবিক, সচেতন, উন্নত রাষ্ট্র। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫-এ আমাদের প্রচেষ্টা হোক এমন এক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার যেখানে প্রতিটি মায়ের গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন সেবা নিশ্চিত হবে, প্রতিটি শিশু জন্ম সুস্থ অবস্থায় জন্ম নেবে, মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ৭০-এর নিচে, নবজাতক মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ১২ জন এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার হাজারে ২৫-এর নিচে নেমে আসবে, মা ও শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ এবং আফ্রিকাসহ যুধবিদ্ধস্ত সকল দেশের শিশু ও মায়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
ড. মো. আজিজুর রহমান ।। অধ্যাপক, ফার্মেসি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: