শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ


প্রকাশিত:
১৪ জুলাই ২০২০ ১৫:৩৫

আপডেট:
১৪ জুলাই ২০২০ ১৭:১৯

ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। গত বছরের ১৪ জুলাই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। করোনা বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিনটি পালনে জাতীয় পার্টি, এরশাদ ট্রাস্ট ও ব্যক্তিগতভাবে বেগম রওশন এরশাদসহ দেশব্যাপী নানান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

সকালে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে রংপুরে এরশাদের সমাধি জিয়ারত করে দুপুরে ফিরে কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল ও বনানীর পৃথক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন জিএম কাদের। বেলা ১১টায় গুলশানে রওশন এরশাদ বাসভবনে মিলাদ মাহফিল ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে এরশাদ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বেলা ১২টায় কাকরাইলে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এরশাদের প্রতিকী বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিকেলে প্রেসিডেন্ট পার্কে স্মরণসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সকাল ১০ টায় কাকরাইলে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করবেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ও মহানগর জাপার নেতারা। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল পাঁচটা পযর্ন্ত কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাবলার ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে কোরান খতম ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাপার পক্ষ থেকে বাদ আছর মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। শ্যামপুর- কদমতলীর বিভিন্ন মসজিদে দোয়া ও মন্দিরে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এরশাদ ট্রাস্টের আয়োজনে পূর্বঘোষিত তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার মসজিদগুলোতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেন মুহাম্মদ এরশাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দুপুরে রাজধানীর বারিধারা জামে মসজিদে দোয়া কালে উপস্থিত ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, এড.কাজী রুবায়েত হাসান সহ ট্রাস্টের অন্যান্য সদস্যরা।

আগামীকাল বুধবার দুপুরে মোহাম্মদপুরে মিলাদ-মাহফিল ও আলোচনার মধ্য দিয়ে এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে। অন্যদিকে ১৭ জুলাই শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদের উদ্যোগে তার নির্বাচনী এলাকা ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও মাতুয়াইলে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

এরশাদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের কোচবিহার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পরে তার পরিবার রংপুরে চলে আসেন। রংপুরেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এরশাদ। ১৯৬৯ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়ে ১৯৭১-৭২ সালে সপ্তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ওই বছরই আগস্ট মাসে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে তাকে সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এরশাদকে সেনাবাহিনীপ্রধান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭৯ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন। ১৯৯১ সালে এরশাদ গ্রেপ্তার হন। ১৯৯১ সালে জেলে অন্তরীণ থাকা অবস্থায় এরশাদ রংপুরের পাঁচটি আসনে বিজয়ী হন। ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনেও এরশাদ সংসদে পাঁচটি আসনে বিজয়ী হন। ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি জামিনে মুক্ত হন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরশাদের জাতীয় পার্টি ১৪টি আসনে জয়ী হয়। ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের সঙ্গে মহাজোট গঠন করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তার দল ২৭টি আসনে বিজয়ী হয়। এরপর দশম ও সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সাংসদ হন। তিনি চলতি জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top