ভয়ংকর মরণব্যাধি বেষ্টনির মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ: রিজভী
প্রকাশিত:
১৬ জুলাই ২০২০ ২৩:৩২
আপডেট:
১৬ জুলাই ২০২০ ২৩:৫৪

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ এক ভয়ংকর মরণব্যাধি বেষ্টনির মধ্যে বাস করছে, এই বেষ্টনি ভাঙতে হবে। তিনি বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের মো. সাহেদ ও জেকেজির ডা. সাবরিনা একদলীয় সরকারের অধীনে লালিত পালিত।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের সনদ বিক্রি, অর্থ ও মানব পাচার এবং মহাদুর্নীতির প্রকোপ বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে এবং মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, তাতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
রিজভী বলেন, ‘প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে এমনভাবে বিল উঠানো হয় যে মানুষ বেঁচে থাকলেও মরার মতো। এই হচ্ছে সরকার নীতি যে মানুষ মরে যায় যাক নিজে বাঁচি।’ তিনি বলেন, ‘একটা পাপুলকে কুয়েতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও কত পাপুল যে তৈরি হয়েছে সেটা বলা মুশকিল। দুঃশাসনের মধ্যেই এগুলো তৈরি হবে, পাপুলরা এমপি হবে। তাদের পক্ষে রাস্তা থাকবে।’
বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদকে গ্রেপ্তার করেছে- এটা কিন্তু কেউ বিশ্বাস করছে না। আবার ফেসবুকে যদি কেউ কিছু লেখে তাহলে রাতের অন্ধকারে ছেলে হোক, মেয়ে হোক তাদেরকে উঠিয়ে নিয়ে আসে। প্রতিবাদ বন্ধ করার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে আসা হয়, স্বীকার করা হয় না।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘যে সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করে না। সে সরকার সবকিছু করতে পারে, যত দুর্নীতি অবিচার আছে সবকিছু করতে পারে। এই সাহেদ সাবরিনা কোথায় ছিল? তারা একত্ববাদী একদলীয় শাসনব্যবস্থা সরকারের অধীনে লালিত পালিত হয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘আজ বিএনপি সামর্থ অনুযায়ী ত্রাণ পিপিই এবং তাদের ডাক্তাররা মানুষদেরকে সাহায্য করছে। এটা তাদের সহ্য হয় না। এটা না সহ্য হওয়ার কারণে এখন শুরু হয়েছে মিথ্যা মামলা। কারণ প্রতিবাদ করলেই বেরিয়ে আসবে সাহেদ সাবরিনার মতো রূপকথা। আর এই ১২ বছরে আরও কত সাহেদ সাবরিনা তৈরি করে রেখেছে তা বলা মুশকিল। তারা তো অনেক আগেই আজিমপুর কবরস্থানে গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: