মঙ্গলবার, ১লা এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই চৈত্র ১৪৩১

Shomoy News

Sopno


অন্তর্বর্তী সরকারে ‘কিচেন কেবিনেট’ আছে: রিজভী


প্রকাশিত:
৫ মার্চ ২০২৫ ১৫:০৫

আপডেট:
১ এপ্রিল ২০২৫ ০১:৪০

ছবি সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে কিচেন কেবিনেট (সরকারের খুব ঘনিষ্ঠ লোক যারা আন অফিসিয়াল পরামর্শদাতা) আছে। তারা সরকার প্রধানের কান ভারী করেন এবং উন্নয়নমূলক কোনো সিদ্ধান্ত নিতে দেন না।

বুধবার (০৫ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘নন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদে’র অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। একযোগে দেশের সব নন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তির দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে এই ঐক্য পরিষদ।

রিজভী বলেন, যারা সমাজে আলো ছড়ায়, মানুষকে আলোকিত করে তাদেরকে ধরনা দিতে হচ্ছে সচিবালয়ে। অথচ যারা বাজারে সিন্ডিকেট করছে, তারা কিন্তু গ্রেফতার হন না। এ ব্যাপারে অন্তবর্তী সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ দেখি না। পেটের ক্ষুধা থেকে নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা যে দাবি তুলেছেন, তাতে কোনো কর্ণপাত করছে না সরকার।

তিনি বলেন, এ সরকার তো আবু সাঈদে রক্তের সরকার, মুগ্ধের রক্তের সরকার। যারা সমাজে আলো ছড়ায়, তারা খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য রাস্তায় অবস্থান করছে অথচ সরকারের পক্ষ থেকে দাবি দাওয়া পূরণের কোনো আশ্বাস নেই। তার মানে সরকারে কিছু গণবিরোধী আছে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, সরকারের মধ্যে কিচেন কেবিনেট আছে। তাদের কারণে ড ইউনুস সাহেব একাই কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তিনি তো প্রধান উপদেষ্টা, প্রধানমন্ত্রী সমমর্যাদা। তিনি তো উন্নয়নে কিছু সিদ্ধান্ত একাই নিতে পারেন, কিছু উপদেষ্টা সেটি হতে দিচ্ছে না।

রিজভী আরও বলেন, এখানে অনেক শিক্ষক আছেন যারা ২৭ বছর ধরে ছাত্র তৈরি করেছেন, যারা সমাজের অনেক দায়িত্ব পালন করছেন। এরা কি দেশের নাগরিক না? তাহলে তাদের থেকে কেন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সরকার।

‘প্রধান উপদেষ্টা তো শিক্ষকবান্ধব, তিনি শিক্ষকদের নিয়েই আন্দোলন করেছেন। তবে তার উপদেষ্টা পরিষদে কিছু গণবিরোধী উপদেষ্টা আছেন। তারা ভালো কাজগুলো হতে দিচ্ছে না। সাথে শিক্ষকদের অনাহারে রেখে, তার সন্তানদের অনাহারে রেখে আপনারা কী আনন্দ পাবেন। তাদের দিকে প্রধান উপদেষ্টা দৃষ্টি দিতে দিচ্ছেন না কেন।

রিজভী বলেন, ড. আমিনুল ইসলাম একজন মেধাবী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। তার নাম শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। আবার বিকেলে গণমাধ্যমে দেখলাম তার জায়গায় আরেকজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ড. আমিনুল ইসলামের মতো একজন বিশিষ্ট সনামধন্য ও খ্যাতিমান শিক্ষকের সঙ্গে এমন আচরণ কেন?


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top