১৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও এনজিও
প্রকাশিত:
১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩:৫৬
আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৪:০০

ঋণ দেবার কথা বলে দুই শতাধিক নারি ও পুরুষের কাছ থেকে জামানতের ১৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে পল্লী উন্নয়ন সমিতি নামে এক এনজিও। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামে।
জানা যায়, গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে পল্লী উন্নয়ন সমিতি নামে অফিস খুলে বসেন আশিকসহ কয়েক জন। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে জামানতের ১৫ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে রাতারাতি আত্মগোপন করেছেন তারা। এরপর থেকে বাড়ির মালিক বজলুর রহমানও আত্মগোপনে চলে গেছেন ।
সমিতির ব্যবস্থাপক আশিক ও অজ্ঞাত ৫ জনের মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের বজলুর রহমানের বাড়ি ভাড়া নিয়ে পল্লী উন্নয়ন সমিতির অফিস খোলেন আশিক নামের এক ব্যক্তি। তারা এক লাখ টাকা ঋণ নিতে ১০ হাজার ৫০০ টাকা ও ৫০ হাজার টাকার ঋণ নিতে ৫ হাজার ৫০০ টাকা করে জামানত নিয়েছে মটমুড়া, বাওট, মহম্মদপুর, গোয়াল গ্রামসহ আরও ৫/৬ গ্রামের অন্তত দুই শতাধিক নারীদের কাছে। জামানত নেবার এক সপ্তাহ পর ঋণ দেবার কথা। কিন্তু ঋণ দেবার কয়েকদিন আগে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় আশিক। এরপর আশিকের মোাবাইল নম্বর বন্ধ পেয়ে ভুক্তভোগীরা পল্লী উন্নয়ন সমিতির অফিসে যোগাযোগ করতে ছাতিয়ান গ্রামে গিয়ে দেখেন অফিস তালাবদ্ধ। বাড়ির মালিককেও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী স্বপ্না খাতুন জানান, সাপ্তাহিক দেড় হাজার টাকা সুদের ওপর সাড়ে দশ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয় আশিকের হাতে। এখন অফিস ও মোবাইল দুটোই বন্ধ। সমিতির কার্যালয় গুটিয়ে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে শাখা ব্যবস্থাপক শাহিনের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করে গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। আত্মগোপনে থাকা সমিতির শাখা ব্যবস্থাপক শাহিনকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
ঋণ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: