নদী থেকে হাত-পা বাঁধা বাকপ্রতিবন্ধী গৃহবধূকে উদ্ধার
প্রকাশিত:
১৭ অক্টোবর ২০২২ ২৩:৫৪
আপডেট:
৩ মে ২০২৫ ০২:২৮

রূপগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বাকপ্রতিবন্ধী এক গৃহবধূকে উদ্ধার করেছেন নৌকার মাঝিরা।
রোববার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। ওই নারীর নাম কাজল রেখা। তাঁর স্বজনদের অভিযোগ, দাবি করা যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন কাজল রেখাকে নদীতে ফেলে দেয়।
এ ঘটনায় স্বামী জুলহাস মিয়া ও তাঁর মা সাহেরা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে গত শনিবার রাতে উপজেলার আতলাপুর এলাকায় নাসিমা বেগম নামের অন্য এক নারীকে শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তাঁর শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে।
কাজল রেখা নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার আম্বর আলীর মেয়ে। বোন আলেয়া বেগম জানান, এক ভাই তিন বোনের মধ্যে কাজল রেখা বাকপ্রতিবন্ধী। সাত বছর আগে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ এলাকার জুলহাস মিয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এ সময় যৌতুক হিসেবে নগদ ১ লাখ টাকা, ১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, সেলাই মেশিনসহ আসবাব দেওয়া হয়। এ দম্পতির তানজিলা (৪) নামের এক মেয়ে রয়েছে।
আবারও বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজল রেখাকে চাপ দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। একাধিকবার নির্যাতনও করা হয় তাঁকে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ হলেও সুরাহা হয়নি।
রোববার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে পিতলগঞ্জ এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে কাজল রেখাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখেন নৌকার মাঝি মুনসুর মিয়া। তিনি স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এতে প্রাণে রক্ষা পান ওই নারী।
উপজেলার চারিতালুক এলাকার সহিদুল্লাহ মাস্টারের মেয়ে নাসিমা আক্তারের ভাষ্য, প্রেমের সূত্র ধরে পাশের আতলাপুরের শরীফ উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। দীর্ঘদিন ধরেই শাশুড়ি ফুল মেহের ও ননদ রোজিনা আক্তার তাঁর ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। গত শনিবার রাতে তাঁরা শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালান।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, দুটি ঘটনায় তাঁরা অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পর্কিত বিষয়:
শীতলক্ষ্যা নদী
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: