ছেলের সহযোগিতায় প্রেমিকের মরদেহ পুঁতে রাখেন হোসনে আরা
প্রকাশিত:
১২ আগস্ট ২০২৩ ২২:৪০
আপডেট:
৭ মে ২০২৫ ১৮:০১

খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পরকীয়া প্রেমিক শাহিন শাহকে গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে হত্যা করেন প্রবাসীর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪০)। পরে ছেলের সহযোগিতায় প্রেমিকের মরদেহ ১০ ফুট গর্তে পুঁতে রাখেন।
শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে নাটোরের বড়াইগ্রামে শাহিন হত্যার ঘটনায় নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার জানান, উপজেলার জলন্দা গ্রামের ওমান প্রবাসী আইয়ুব আলীর স্ত্রী হোসনে আরার সঙ্গে শাহিন শাহের দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি তাদের সম্পর্কে অবনতি ঘটে। এর জেরে অভিযুক্ত শাহীনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন হোসনে আরা।
একপর্যায়ে গত ৭ আগস্ট রাতে শাহিন শাহ হোসনে আরা বাড়িতে গেলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হোসনে আরা শাহিনের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ালে শাহিন অচেতন হয়ে পড়েন। পরে হোসনে আরা গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে শাহিনের মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হত্যার পরে টিউবওয়েল বসানোর নাম করে দুই শ্রমিক দিয়ে ১০ ফুট গর্ত খোঁড়েন হোসনে আরা। পরে ছেলে আশরাফুল ইসলাম ইমনের (১৪) সহযোগিতায় শাহিনের মরদেহ সেই গর্তে পুঁতে রাখেন।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, হোসেনে আরাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আজ তাকে আদালতে পাঠানোর পর রিমান্ড আবেদন করা হবে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. ফিরোজ শাহ বড়াইগ্রাম থানায় হোসনে আরা এবং তার ছেলে ইমনসহ অজ্ঞাত আরও দুইজনের নামে মামলা করেছেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে নিহত শাহিন শাহের মোবাইল ফোন কলের সূত্র ধরে বড়াইগ্রাম উপজেলার জলন্দা গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের বাড়ির টিউবওয়েলের পাশে ১০ ফুট গভীরের মাটি সরিয়ে শাহিন শাহের মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত হোসনে আরা বেগমকে আটক করা হয়।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: