মঙ্গলবার, ১৭ই জুন ২০২৫, ৩রা আষাঢ় ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


একই ক্ষেতে তিন সবজি, কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি


প্রকাশিত:
১৭ জুন ২০২৫ ১১:৪৩

আপডেট:
১৭ জুন ২০২৫ ১৭:০১

ছবি সংগৃহীত

বেগুন গাছের ওপর থোকায় থোকায় ঝুলছে শসা আর করলা। প্রতিদিন ক্ষেতে উৎপাদিত কয়েক হাজার মণ শসাসহ করলা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের চাহিদা মেটাচ্ছেন কৃষক। একই ক্ষেতে তিন প্রকারের সবজি উৎপাদনের প্রযুক্তি প্রয়োগে অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুঠে উঠেছে। দেশের বড় মোকামের পাইকার ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সবজি কেনায় মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে রেহাই পাওয়ায় উপযুক্ত বাজারমূল্য পাচ্ছেন কৃষক।

যশোরের মণিরামপুরের দেলোয়াবাটি, হুরগাতি, কর্ন্দপপুর, জয়পুরসহ সাত গ্রামের কৃষক প্রায় দুইশ’ বিঘা জমিতে এই প্রযুক্তিতে তিন প্রকারের সবজি চাষ করছেন।

দেলোবাটি গ্রামে গেলে এই চিত্র চোখে পড়ে। ক্ষেত থেকে তুলে আনা শসা গ্রামের সড়কের পাশে রেখে ট্রাক বোঝাই করা হচ্ছিল। পাইকার ব্যবসায়ী কওছার আলী বলেন, প্রতিদিন ট্রাকে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে শসা, বেগুন ও করলা কিনে ঢাকা ও খুলনার মোকামে নিয়ে যান। তারমতো আরও পাইকার প্রতিদিন ৭/৮টি ট্রাক ও করিমন-আলমসাধুযোগে বড় মোকামে নিয়ে যাচ্ছেন।

আলমগীর হোসেন, রিয়াজ হোসেন, মাহফুজুর রহমানসহ একাধিক কৃষক জানান, বছর তিনেক আগে এলাকার শরিফুল ইসলাম টুকু নামের একজন প্রথমে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। তিনি সফল হলে, তার দেখাদেখি তারা এভাবে একই ক্ষেতে তিন ধরনের সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। বছরে কেবল আমন মৌসুমে ধান হয়। বাকি সময় তারা এই সবজি চাষ করেন।

তারা আরও জানান, আমন ধান ঘরে তোলার পর ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বেগুন চাষ করেন। গাছে পুরো বেগুনের ফলন শুরু হলে গোড়ায় বোপণ করা হয় শসা এবং করলার বীজ। বেগুনের ফলন শেষ হতেই শসা ও করলার ফলন শুরু হয়। তখন বেগুন গাছই শসা ও করলার মাচানের কাজ করে। বেগুন ক্ষেতে দেয়া রাসায়নিক সার শসা ও করলা ক্ষেতের উর্বর করতে কাজ করায় আলাদা করে রাসায়নিক সার দিতে হয় না। এভাবে প্রতি বিঘা জমি হতে তিন ধরনের সবজি বিক্রি করে প্রায় ৫ লাখ টাকার বেশি মুনাফা করছেন তারা।

মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, এক জমিতে একই সঙ্গে তিন ফসল আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি। এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের চাষাবাদে সবসময় খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকার সবজি চাষিরা লাভবান হবেন।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top